কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের গণআদালতে বিচারের ঘোষণা

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০১৮, ০৪:১৭ পিএম

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নতুন ফেইজে কয়লা উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিলেও অক্টোবরের আগে সম্ভব নয় বলে দাবি শ্রমিকদের। নতুন ফেইজ খনন করতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় সময় লাগবে বলে জানান তারা।

এদিকে, সরকারের কয়লা আমদানির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের গণ-আদালতে বিচারের ঘোষণা দিয়েছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

গত ২২ জুলাই কয়লা সংকটের কারণে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। টনক নড়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের। কয়লা উধাও ঘটনা তদন্তে ৩টি কমিটি করা হয়।

এ অবস্থায়, নতুন ফেইজ খনন করে করে কয়লা উত্তোলনের জন্য পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে কয়লা উত্তোলনের লক্ষে ভূ-গর্ভস্থ শ্রমিকদের ছুটি বাতিল করা হয়। তবে নতুন ফেইজ খনন করে কয়লা উত্তোলনে কমপক্ষে দেড় মাস সময় লাগবে বলে জানান খনি শ্রমিকরা।

সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ কায়কোয়াস জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।

এদিকে সরকারের কয়লা আমদানির ঘোষণার কড়া সমালোচনা করে কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের গণআদালতে বিচারের ঘোষণা দিয়েছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেহেতু দুর্নীতি হচ্ছে তাই দুই-একজনকে আইনের আওতায় আনা হলেও বাকিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।

তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন সময় যারা মন্ত্রী ছিলেন এবং উপদেষ্টা ছিলেন তাদের ভূমিকাকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে। উচ্চ পর্যায়ের লোকদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকার তাদের বিচার না করলে গণ-আদালতের মাধ্যমে আমাদেরই বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রায় ২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা চুরি এবং ঘাটতির সঙ্গে জড়িত ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন