স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৬, ০৯:৪৪ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন। উভয়ে তাদের দেওয়া বাণীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনদানকারী শহীদদের এবং জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সকলকে যথাযোগ্য মর্যদায় স্বাধীনতা দিবস পালনের আহ্বানা জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি জাতিকে দুই দশকের অধিক সময় ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আমি আজ সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। আরও স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকল স্তরের জনগণকে, যাদের অসামান্য অবদান ও সাহসী ভূমিকা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত বিজয়। শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতাকে, যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সম্মান জানাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতি, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিবেদিত থেকেছে। গত সাত বছরে আমরা কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ক্রীড়া, তথ্যপ্রযুক্তি, বৈদেশিক সম্পর্ক, নগর উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, নারী উন্নয়নসহ প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছি। এর ফলে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রফতানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থা আমাদের প্রশংসা করেছে, পুরস্কৃত করেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন