জরুরি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮, ০৯:২৩ পিএম

ঢাকা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। তারা জরুরি প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় গ্রেপ্তার করতে পারবে।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কমিশনের সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একথা জানান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হবে।

সশস্ত্র বাহিনীর ভ‚মিকা প্রসঙ্গে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘সেনাবাহিনী সিআরপিসি অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কাউকে আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।’

বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশি হামলা ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মহা পুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেবো, যেন  কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেফতার না করা হয়।’

হামলা ফৌজদারি অপরাধ : সিইসি

এদিকে, ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলা দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয়টি তদন্তে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে প্রতিবেদন চাইবে ইসি।

শনিবার বিকালে কমিশন বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সিইসি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন, প্রখ্যাত ব্যক্তি। তার ওপর হামলা কখনও প্রত্যাশিত নয়। এটা ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। তারা আমাদের কাছে এ নিয়ে আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্তে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে তা পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই