জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা

  • জার্মানি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৪:০১ পিএম

ঢাকা : আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে তিনদিনের সফরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জার্মানির মিউনিখে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

পরে প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রাসহ হোটেল শেরাটনে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি এখানে অবস্থান করবেন। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই তার প্রথম জার্মান সফর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের বলরুম মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। বরং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন করেছে। সেনা বাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং সৈনিকদের হত্যা করেছে।

বিএনপির শাসন আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে যে দুর্নীতি করেছে, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজা পেয়েছে, এতিমের অর্থ আত্মসাতের সাজা পেয়েছে তাই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অগ্নি সন্ত্রাস, সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্ব এবং জামায়াতকে ধানের শীষ মার্কা দিয়ে প্রার্থী করাতে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং ভোট দেয়নি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনীল দাশ গুপ্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুারি) আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) আয়োজিত ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-হু কেয়ার্স’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন। ২০১৭ সালের নোবেল বিজয়ী পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ড. ফাতৌ বেনসৌদার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

বিকালে প্রধানমন্ত্রী সিমেন্স এজির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কায়িজার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ডি ও জিগসাওয়ের সিইও জারেড কোহেনের নৈশভোজে অংশ নেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় যোগ দেবেন। রোববার সকালে আবুধাবির উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই