প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৯, ১২:১৯ পিএম

ঢাকা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আঁচড়ে ও বাহারি ফুলে সাজানো হচ্ছে। এ দিনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতেই এমন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে এক নতুন রূপ দিতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্মৃতিসৌধ এলাকায় থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত সড়কের ডিভাইডারে নতুন করে রং ও লাইট লাগানো হচ্ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্মৃতিসৌধে আসা দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এর আগে গত ১৯ মার্চ স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আগামী ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ না করা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আঁচড়ে ও রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে আসা দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য ২২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সোমবারের (২৫ মার্চ) মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলেও জানান গণপূর্ত বিভাগের এ কর্মকর্তা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই