‘হঠাৎ বিকট শব্দ, এরপর দেখি হাঁটুর নিচে রক্ত ঝরছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৯, ০৮:১৭ এএম

ঢাকা: ‘আমি দাঁড়িয়ে ডিউটি পালন করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। দেখি সামনে থাকা পুলিশের গাড়িটিতে আগুন লেগেছে। এরপর দেখি আমার বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে রক্ত ঝরছে।’

রবিবার (২৬ মে ) দিনগত রাতে রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এভাবেই তিনি ভয়াবহ সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। তবে এটি ককটেল নাকি অন্য কোনো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

আহত এএসআই রাশেদা খাতুন বলেন, আমার বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। ডিউটিরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটিতে বিস্ফোরণ দেখতে পাই। আমার ধারণা কেউ গাড়িটিতে ককটেল মেরেছে। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

আহত রাশেদা খাতুনকে প্রথমে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল এবং পরে ঢামেকে আনেন ট্রাফিক সার্জেন এনামুল হক। ঢামেক জরুরি বিভাগে তার পায়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।

ঢামেক জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, রাশেদার পায়ে ছোট ছোট আঘাত রয়েছে। তবে সেগুলো গুরুতর নয়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রিকশাচালক লাল মিয়া ঢামেকে চিকিৎসাধীন। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢামেক সূত্র।

বোমা হামলার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বোমা হামলার সঙ্গে কোনো গোষ্ঠী জড়িত কি-না তা নিশ্চিত নয়। আহতরা আশঙ্কামুক্ত।

এর আগে রাতে মালিবাগ মোড়ে পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কেউই বিস্ফোরণের সূত্রপাত নিশ্চিত করেনি। তবে অনেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বললেও ঘটনাস্থলে কোনো সিলিন্ডার টুকরা পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/এইচএন