চামড়া শিল্পকে প্রাধান্য দিতে হবে

  • রেজাউল করিম খোকন | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২১, ১২:৪২ এএম

ঢাকা : ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর তৎকালীন বাংলাদেশে প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। পাট ও পাটজাত দ্রব্যই ছিল সে সময় উভয় পাকিস্তানের প্রধান রপ্তানি পণ্য। দেশের জাতীয় আয়ের ৬৫ শতাংশই আসত কৃষি খাত থেকে। তবে দেশীয় ব্যবহার ও রপ্তানিতে চা ও চামড়ার উপস্থিতি এবং অবস্থান ক্রমে বাড়তে থাকে। এ দেশ মুসলমানপ্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কোরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই এসব পশুর মাংস ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে দেশে চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। ব্যবসা হিসাবে এ দেশে চামড়া খাতের যাত্রা শুরু হয়েছে বিগত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে।

১৯৪০ সালে রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) নারায়ণগঞ্জে প্রথম ট্যানারি স্থাপন করে চামড়া ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীসময়ে আরো বেশ কয়েকটি ট্যানারি গড়ে ওঠে সেখানে। ১৯৫১ সালের ৩ অক্টোবর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনে ভূমি অধিগ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার জনশূন্য হাজারীবাগে স্থানান্তর করা হয় ট্যানারি। বর্তমানে দেশে ট্যানারির সংখ্যা ২৭০টি। এর ৯০ ভাগই ছিল হাজারীবাগে। ৭০ বছর ধরে হাজারীবাগে চামড়া শিল্পের কার্যক্রম চলেছে। এ সময় শিল্পটির যে প্রসার হওয়ার কথা ছিল আসলে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। চামড়াশিল্পের যতটা অগ্রগতি হয়েছে তা এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। সরকারের উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা না পেলেও তারা সামনে এগিয়ে চলেছেন। এদিকে রাজধানী ঢাকা শহরে ঘনবসতি গড়ে ওঠায় পরিবেশ দূষণ এবং এলাকাবাসীর দাবির মুখে ট্যানারি শিল্প ২০০৩ সালে হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে সাভারে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিদ্ধান্তের পর চামড়া শিল্প নগরী গড়তে সাভারের হরিণধরায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। নতুন ট্যানারি শিল্প নগরীর সরিয়ে নেওয়ার কাজ সিংহভাগই সম্পন্ন হয়েছে।

এটা সত্য, সাভারে চামড়া শিল্পনগরে এখনো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে সিইটিপি বসানো নিয়ে দুই দশক ধরে কথা হচ্ছে। এটা নিয়ে কত সেমিনার, কত কথা হয়েছে। চামড়া খাত নিয়ে একটা রোডম্যাপ করা জরুরি। একই সঙ্গে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সাভারের ট্যানারিপল্লীর নকশা এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) দুর্বলতার কারণে দেশের চামড়াশিল্পে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমপ্লায়েন্স এবং পোশাক খাতের মতো বন্ড সুবিধা দেওয়া গেলে এই খাত থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করা সম্ভব ।  কিছু বাধা থাকলেও বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা নিয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্যানারি শিল্পের রপ্তানি বাড়াতে কমপ্লায়েন্স ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

দীর্ঘদিনেও বাংলাদেশে চামড়াশিল্প এগিয়েছে অনেকটা ঢিমেতালে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে শিল্পটি কিছুটা গুরুত্ব পেতে থাকে। বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাত থেকে সরকার প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। স্থানীয় ট্যানারি কারখানাগুলোতে চার ধরনের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ক্রাশ্ড ও ফিনিশড লেদারই বেশি রপ্তানি হয়। কাঁচা চামড়া নয়, প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে সাধারণত লাভ বেশি হয়ে থাকে। সে কারণে কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিরোধী ট্যানারি মালিক ও সংশ্লিষ্টরা। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রপ্তানি বন্ধ রাখা না গেলেও সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। এজন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) চাপ রয়েছে। ট্যানারি মালিক, আড়তদার ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হচ্ছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিবছর কোরবানি ঈদের সময় বিপুল পরিমাণ কাঁচা চামড়া অবৈধভাবে পাচার হয়ে চলে যায় ভারতে। ভারতের একটি গোষ্ঠী এদেশের চামড়া কিনতে সীমান্তের ওপারে ওত পেতে থাকে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদের সময় তাদের এ তৎপরতা বেড়ে যায়। এ সময় তারা অর্থ দিয়ে অথবা গরু ব্যবসায়ীদের বাকিতে ভারতীয় গরু সরবরাহ দিয়ে চামড়া সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। আমাদের এখানে চামড়া শিল্পে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে না পেরে অনেকে ব্যবসা বদলাতে চাইছেন। চামড়া খাতের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা শিল্পটি থেকে চলে গেলে শূন্যতা দেখা দেবে। বর্তমানে চামড়া বাজারে স্বার্থসন্ধানী মহল অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। ভারতে বেশি দামে চামড়া পাচারের পাঁয়তারায় লিপ্ত ওই মহলটি। চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি খুবই জরুরি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরের ৪৮ ভাগ চামড়া পাওয়া যায় কোরবানির ঈদে, ১০ ভাগ রোজার ঈদ ও শবেবরাতে, ২ ভাগ হিন্দুদের কালিপূজার সময়। তাই এসব উৎসব পূজা-পার্বণে বাংলাদেশ থেকে পশুর চামড়া সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় ভারতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে দেশের কিছু ভুঁইফোঁড় মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী রাতারাতি বেশি মুনাফার লোভে পাচার করেন কাঁচা চামড়া। চামড়া পাচারকারীরা কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে বিভিন্ন সীমান্তের গ্রামে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, চোরাকারবারিসহ সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে তারা। পরবর্তীকালে তাদের সহায়তায় অপকৌশল অবলম্বন করে সারা দেশ থেকে সংগ্রহ করা গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ এর চামড়া পাচার করে দেয় ওপারে। অতএব, চামড়া পাচার রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

চাহিদার তুলনায় দেশে চামড়া উৎপাদন কম। চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় মৌসুম কোরবানির ঈদ। কোরবানির সময় যে চামড়া সংগ্রহ করা হয়, তা দিয়েই সারা বছর ট্যানারি শিল্পের কারখানাগুলো চলে। এ অবস্থায় কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হলে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হবে। এতে চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ মানুষ বেকার হবেন। তাছাড়া দামের দিক থেকে কাঁচা চামড়া ও ফিনিশড লেদার বা লেদার গুডসের ব্যবধান অনেক। কাঁচা চামড়া রপ্তানি করে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় ঠিক একই পরিমান কাঁচা চামড়া থেকে উৎপাদিত ফিনিশড লেদার বা লেদার গুডস রপ্তানি করে আয় হবে কয়েকগুন। বছরে ৩০ মিলিয়ন স্কয়ার ফিট চামড়া উৎপাদন হয়। কিন্তু চাহিদা দ্বিগুনের বেশি। চামড়া শিল্পে চীনের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এদেশে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পে বিভিন্ন উৎপাদনমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে বাংলাদেশ। এখাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এর মাধ্যমে। পরিবেশবান্ধব আধুনিক চামড়া শিল্প গড়ে আমাদের অর্থনীতিতে আরো চাঙাভাব সৃষ্টি করা যায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুণগত মানের চামড়া, সস্তা মজুরির শ্রমিক ও কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতাসহ অন্যান্য তুলনামূলক সুবিধা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা জোরদার করতে চামড়া শিল্প খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রশিক্ষণ সুবিধার প্রসার ও বিদেশি ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ট্যানারি শিল্পে গুণগত পরিবর্তন আনার জোরালো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

প্রতিবছরই পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো শতশত কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ঋণ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব ঋণের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। আগেকার কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যেন ঋণ না পায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে সতর্ক #বাংলাদেশের খবর থাকে ব্যাংকগুলো। প্রতি বছর চামড়ার বার্ষিক চাহিদার সিংহভাগ জোগান আসে কোরবানির পশু থেকে। ফলে এ শিল্পের জন্য উন্নতমানের চামড়া কিনতে ব্যবসায়িরাও এ সময় ব্যস্ত থাকেন।

সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বেশি রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে আরো মজবুত করতে হলে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। চামড়া শিল্পের মানোন্নয়নে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে আরো লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপন, চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ, চামড়া শিল্পের জন্য আলাদা শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা, চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে বোঝাপড়া ও সমন্বয় গড়ে তোলা, ব্যবসায়ীদের চামড়া রপ্তানির বিপরীতে পাওনা শুল্ক ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া, চামড়া সংরক্ষণে ও প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব নিরসন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে লবন ও অন্যান্য ব্যবহূত কেমিক্যালের মূল্য না বাড়ানো, চামড়ার রপ্তানি বাড়াতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আরো কার্যকর করাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে বাস্তবমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে এ শিল্প বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু গার্মেন্ট শিল্পের ওপর ভরসা না করে চামড়া শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ রপ্তানি আয়ের পরিমান আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে যে সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে তা কোনোভাবেই অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ আর কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবেনা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনাময় পথ ধরে এগিয়ে যাবে অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে দীর্ঘদিন ধরে যে অবহেলা করা হয়েছে তার ফলে যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা কাটিয়ে উঠতে সময়োপযোগী কর্মকৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

চামড়া শিল্পে বিরাজমান সমস্যাসহ কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাবজনিত কারণে ২০২০ সালে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিতরণ করা ঋণের কিছু অংশ অনাদায়ী রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ২০২১ সালের আসন্ন ঈদুল আজহায় ওকারবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা দেওয়া তফসিলি ব্যাংকগুলোর পক্ষে দুরূহ হয়ে পড়েছে। দেশীয় কাঁচামালভিত্তিক চামড়া শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক জোগান আসে প্রতি বছর কুরবানির পশুর চামড়া থেকে। এ সময় চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিশ্চিত করা গেলে একদিকে মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।

কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। এ সময় অন্য পণ্যের চেয়ে চামড়ার বাণিজ্য কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে তা পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। সদ্য বিদায়ি অর্থবছরে চামড়ার সব খাতে ইতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাই এ সময় চামড়াশিল্পে কমপ্লায়েন্স, পোশাক খাতের মতো বন্ড সুবিধা এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনা গেলে এই খাত থেকে এক হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সাভারের ট্যানারিপল্লিসহ চামড়া খাতে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা করা গেলে চীন থেকে বের হয়ে আসছে বিশ্বের এমন বড় বড় ব্র্যান্ড নাইকি, পুমা, অ্যাডিডাসের জন্য বিনিয়োগের বড় গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়বে।

লেখক : সাবেক  ব্যাংকার, মুক্তগদ্য লেখক