গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ আর সহ্য করব না: হান্নান শাহ

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০১৬, ০৭:১৪ পিএম


নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। সে আক্রমণ একবার বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে করা হয়েছিল, আরেকবার ১/১১ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে করা হয়েছিল। গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ আমরা আর সহ্য করব না। আগেও এর প্রতিবাদ করেছি, এখনো করছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ১/১১-এর ষড়যন্ত্র ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হান্নান শাহ।

স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপিকে নিয়ে ১/১১ এর ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেছেন, ১/১১ এর মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর আঘাত শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা আর ১/১১ দেখতে চাই না, হতেও দেব না।

সেলিমা রহমান বলেন, ১/১১ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর আঘাত শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ১/১১ ছিল রাজনীতির জন্য অভিশাপ। কিন্তু বিএনপিকে সতর্ক হওয়া ও নতুন করে ভাববার জন্য তা ছিল একটি মাইলফলক। তবে ১/১১ সৃষ্টির পেছনে দলের ভেতরের ও বাইরের কারা জড়িত ছিল, তা তদন্ত করে বের করতে হবে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, রাজনীতিকে নিঃশেষ করতে ১/১১ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ১/১১ সৃষ্টির আগে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। তাই ১/১১ সৃষ্টির পেছনে  জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা জড়িত ছিল সেইসব দালালদের চিহ্নিত করতে হবে। অন্যথায় নেতা-কর্মীরা আমাদের ক্ষমা করবে না।

সোনালীনিউজ/এমএইউ