ঢাকা: রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে এরশাদপুত্র সাদকে মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফলে নিজ দুর্গেই টাল-মাটাল জাতীয় পার্টি। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভোটারদের মাঝে। তৃণমূলে দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারলে সংকটে পড়বে দলটি।
জানা গেছে, রংপুর-৩ আসনে ৩২ বছর পর এমন সংকটে পড়লো জাপা। এই প্রথমবারের মতো প্রার্থী দেয়া নিয়ে দলটিতে দেখা দিয়েছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদকে মনোনয়ন দেয়ায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন জেলার নেতাকর্মীরা।
গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাদ যখন মনোনয়নপত্র জমা দেন, তখন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা ছাড়া দলের অন্য কোন বড় নেতাকে দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘তৃণমূলের কথা যদি কেন্দ্র গুরুত্ব না দেয় তাহলে তো তৃণমূলের অবস্থান ঠিক রাখা কোনভাবেই সম্ভব না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি রাজনীতি যদি করতে হয়, রাজনীতির মত করতে হবে। দালালি করে রাজনীতি চলে না বেশিদিন।’
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক ড. শ্বাশ্বত ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঢাকায় সমঝোতা করলে লাভ হবে না। সমঝোতাটি আসলে তৃণমূলে এসেই করতে হবে। সংকটটি তো তৃণমূলের। সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে, নইলে এই সংকট নিরসন হবে বলে মনে হয় না।’
এদিকে বিভেদ ভুলে সবাই সাদের পক্ষে কাজ করবে বলে মনে করছেন জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। যারা মন খারাপ করে আছেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু, আস্তে আস্তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।’
সোনালীনিউজ/এমএএইচ