আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসছে নতুন মুখ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০২:১১ পিএম

ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরে দলের ২১তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেত্রী যাকেই মনোনীত করবেন তাকে স্বাগত জানাবেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা জানান।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার  আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আজকের এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠানকে পত্রিকার শিরোনাম রাজনৈতিক করার জন্য ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা প্রাসঙ্গিক না কেন? আজকের যেই অনুষ্ঠানে এসেছি, তাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা সাংবাদিকতা করেন, আমিও আপনাদের অগ্রজ (সাংবাদিক)। মন্ত্রিত্ব গেলে আমি আবারও সাংবাদিকতায় আসব।

এরও আগে গত ২ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কাদের। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চলতি বছরের ২০ মার্চ  সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। কার্ডিওথোরাসিক সার্জন সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে তার সার্জারি সম্পন্ন করা হয় তার অপারেশন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের। বাবা মোশারফ হোসেন সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে জনশিক্ষা স্বার্থে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন। ওবায়দুল কাদের বসুরহাট সরকারি এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। অতঃপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭৫ এর পর এক নাগাড়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এএস