ঢাতা : আলোচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যুবলীগের কাকরাইলের কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে তাকে র্যাবের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কাকরাইলে আনা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান শুরু করে র্যাব। ওইদিন রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরপর কাকরাইলের কার্যালয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করে। সেইখান থেকে লাপাত্তা হয়ে যান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ১০ দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বলছে, ভারত সীমান্তবর্তী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে একজন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই ক্যাসিনো সম্রাট।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোট ৫টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেখানে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, সুযোগ বুঝে সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার।
তবে র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য থাকায় সে সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারেননি ক্যাসিনো সম্রাট। মধ্যরাত থেকে তার আত্মীয়র বাড়িটি ঘেরাও করে রেখে তাকে আটক করা হয়।
তাকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম।
র্যাব ও পুলিশ বলছে, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারাই সম্রাটের নাম বলছেন। রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।
সোনালীনিউজ/এএস