ফাহাদ হত্যা

পুলিশের বাধায় ফিরে গেলেন আমান উল্লাহ আমান

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৬:৩৬ পিএম

কুষ্টিয়া : পুলিশের বাধায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী যেতে পারেনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ দলের কয়েকজন নেতা।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজা থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আমান উল্লাহ আমানের গাড়ী (ঢাকা মেটো-ঘ-১১-৪৭৬৫) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা টোল প্লাজায় পৌঁছায় সেখান থেকে ১১টা ৪০ মিনিটে পুলিশের বাধায় গাড়ীটি ফের ঢাকার অভিমুখে ফেরত যায়।

এ সময় বিএনপির নেতারা বলেন, আমাদের কুষ্টিয়া লালন শাহ সেতুতে পুলিশ অন্যায়ভাবে বাধা দিয়েছে। আমরা জাতিকে জানাতে চাই আবরার জাতীর সম্পদ।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা এসেছি কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবো। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাবো। আমরা শহীদ আবরাবের বাড়িতে যাবো। তার বাবা-মার সাথে কথা বলবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের পাঠিয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা সংবিধানকে অমান্য করা হচ্ছে। আমাদের অধিকার পুলিশ কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সংগ্রাম চলবে।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী আহমেদ রুমি, সাধারণ সম্পাদক সোহবার উদ্দিন।

এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আল বেরুনি, ভেড়ামার থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৯ অক্টোবর নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে এবং ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আসেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে পুলিশের সহায়তায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে যান ভিসি।

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই