নারীবান্ধব শহর গড়তে সিসি ক্যামেরা লাগাবো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৩:২৩ পিএম

ঢাকা: নির্বাচিত হলে নারীবান্ধব ঢাকা শহর গড়ে তুলব। এছাড়া মেয়র ও কাউন্সিলদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কল্যাণপুরে নির্বাচনি গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি নয় মাস সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছি। ঢাকাকে একটি ডিজিটাল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক কিছু করেছি। তবে নয় মাসের কাজে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হয় না। আর তাই অনেক কাজ দেখাতে পারিনি। এই নয় মাসের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল কমান্ড সেন্টার গড়ে তোলা। যেটি এরই মধ্যে গড়ে তুলেছি। যদি ভোটে নির্বাচিত হই তবে নারীবান্ধব শহর গড়তে সিসি ক্যামেরা লাগাবো। এতে টোটাল নেটওয়ার্কটা আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কমান্ড সেন্টারে চলে আসবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ, পরিষ্কার ও আলোকিত ঢাকা গড়তে এরই মধ্যে আমরা কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে সব কিছুই কমান্ডার সেন্টারের অধীনে চলে আসবে। এছাড়াও আলোকিত ঢাকা নির্মাণে ৪২ হাজার লাইট লাগানো হবে। এই লাইটের কন্ট্রোল প্যানেলও কমান্ড সেন্টারে আওতায় চলে আসবে। ঢাকার কোথায় ময়লা পড়ে রয়েছে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোথা থেকে ময়লা নেয়নি, কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সব খবর চলে আসবে ডিএনসিসির কাছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি নির্বাচিত হই তবে আমি ও আমার কাউন্সিলররা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব। আমরা প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে জবাবদিহিতামূলক টাউন হল মিটিং করব এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হব।

নির্বাচিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও নৌকার কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না। নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড ও গিয়ার একটিই- সেটা হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার, নৌকার জোয়ার। নৌকায় যদি ভোট দেন তাহলে অবশ্যই নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি, নৌকা দেবে শৃঙ্খলা।’

আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘সরাসরি কেউ যদি ট্যাক্স দিতে যায়, তাহলে অসাধু কিছু কর্মকর্তার সাথে নেগোসিয়েশন হয়। এই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত ওই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত টাকা। এগুলো চলবে না। চলতে দেওয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে সবাই বাড়ির ট্যাক্স দেবেন। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আর যেতে হবে না। এ ধরনের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ বন্দোবস্ত করা হবে।’

এ দিকে, সরস্বতী পূজার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। তারা দেরিতে হলেও সরস্বতী পূজার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে।’

নির্বাচনি প্রচারণার দশম দিনে আতিকুল ইসলাম সকালে গণসংযোগ শুরু করেন কল্যাণপুর থেকে। 

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আজিজুল হক রানাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ