রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢুকলে প্রতিহতের ঘোষণা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম
ফাইল ছবি

ব্রহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনের সময় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যদি কোনো এলাকায় আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক দলীয় সভা শেষে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।

আল মামুন সরকার বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলে যে উপ-নির্বাচন হচ্ছে এতে দলীয়ভাবে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই। এরপরও আসনটি যেহেতু বিএনপির ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আশুগঞ্জে এসে একটি মিটিংয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করেন দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়োজনে তাদের প্রতিহত করা আবশ্যক। সেই প্রেক্ষাপটে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জে যে উপ-নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে এবং প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে প্রশাসনকে আমরা সহযোগিতা করবো। যদি কোনো ব্যক্তি বা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেন, তাহলে আমরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছি তাদের প্রতিহত করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রুমিন ফারহানা এসে তার দলের নেতাকর্মীদের উসকে দিতে চেয়েছেন। উপ-নির্বাচনের সময় তিনি যদি সরাইল বা আশুগঞ্জের কোথাও আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান সাজু প্রমুখ।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ