বিএনপির কর্মসূচিতে উস্কানি না দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৬:০৭ পিএম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের উস্কানি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে কোনো প্রকার বিরতি থাকবে না, বিরতিহীনভাবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি, গণসংযোগ এবং সতর্ক অবস্থানে থাকা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, আগুন-সন্ত্রাসের যেসব ঘটনা মাঝে মাঝে দেখা দেয় এসব ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব।

আমাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। পাল্টাপাল্টি কোনো বিষয় নয়, ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করব, এখন সম্মেলন চলে গেছে, মনে হয় একটা গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে। সন্ধ্যা গেলে পার্টি অফিসে আগে তো ঢুকতেই পারতাম না, সব প্রার্থী। এখন মনে হচ্ছে যে, আর তো প্রার্থী নেই সে জন্য একটু গা-ছাড়া ভাব আছে। গা-ঝাড়া দিয়ে উঠুন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর সমাবেশের কথা তুলে ধরে রাজশাহী ছাড়াও সাংগঠনিক কাজে কয়েকটি জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতাদের সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলাপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপকমিটির চেয়ারম্যান, সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এগুলো পুনর্গঠন করতে হবে। নতুন করে গঠন করতে হবে। যার যার ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনারা উদ্যোগ নেবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিভাগের দায়িত্বে আছেন, তাদের কাছে আমি অনুরোধ করব- সম্মেলন হয়ে গেছে অনেক দিন, অনেকগুলো সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো জমা হয়নি। আর জমা হলেও সভাপতির (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমি যেগুলো অনুমোদন করি তাকে ফাইনালি আরেকবার দেখাতে হবে। তার আগে আমাদের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমাকে তো বলতে হবে যে, এই কমিটি ঠিক আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২৯টি কমিটি হাতে পেয়েছি, আমাকে আগে জানতে হবে যে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা কমিটিগুলো দেখেছেন কি-না। দেখলে আমি নেত্রীর কাছে তুলে ধরে অনুমোদন দিতে পারি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ছাড়াও ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার তাগিদ দেন তিনি।

সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এম