আ.লীগে শক্তিশালী টিমওয়ার্ক গড়বেন কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০১৬, ০৪:৩৬ পিএম

ঢাকা: দলে শক্তিশালী টিমওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আর জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়ায় দলের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে তিনি ওই টিমওয়ার্ক করতে চান।

একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়- এ লক্ষ্য সামনে থেকেই টিমওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। আর এজন্য দলেন প্রাণ হিসেবে চিহ্নিত তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূল থেকে সংঘবদ্ধ সাংগঠনিক শক্তিতেই জয়লাভ করা সম্ভব বলে মনে করছেন নতুন সাধারণ সম্পাদক।

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ওয়াবদুল কাদের নিজেকে গর্বিত ভাবছেন। এটাকে তিনি নিজের রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার ও স্বীকৃতি বলেও মনে করছেন। আর সে কারণেই নিজেকে উজাড় করে দলকে আরো শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রভাবশালী ও ক্লিন ইমেজের এই নেতা।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আয়োজিত প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আগামীর পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে মন্ত্রী ভাবি না। নিজেকে দেশের একজন সেবক ভাবি। সাধারণ নাগরিক ভাবি।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘সড়ক পরিহবন ও সেতু মন্ত্রী হিসেবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাই। সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন, কখনো কখনো নালিশও করেন। এখন যেহেতু অথরিটি পেয়েছি সেহেতু একদিকে সড়ক ও সেতু দেখব, পাশাপাশি তৃণমূলের সমস্যাও দেখব।

দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রধান চালিকা শক্তি তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারাই দলের প্রাণ। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তৃণমূলের সমস্যা দেখার পাশাপাশি তাদের সুসংগঠিতও করবেন। আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য তাদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে উচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী টিমওয়ার্ক গড়ে তুললে অসাম্প্রদায়িক শক্তি তথা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাধ মোকাবেলা থেকে শুরু করে দলীয় শৃঙ্খলাও ফিরে আনা যাবে।

গেল ২৩ অক্টোবর দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সর্বম্মতিক্রমে অষ্টমবারের মতো সভানেত্রী পদে পুনর্নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচনী অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

প্রস্তাবটি সমর্থন করেন পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এরপর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়ে যায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদটি।

সোনালীনিউজ/এমএন