ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, শ্রমিকবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনা এখন সময়ের দাবি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইসলামভিত্তিক রাজনীতির জন্য অনুকূল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সুযোগে ‘প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ (পিআর) পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত করতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে আয়োজন করতে হবে। বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ভর ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছা সংসদে প্রতিফলিত হয় না, বরং বৈষম্য, অস্থিরতা ও অন্যায় আধিপত্যের জন্ম দেয়। এতে শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়, আর মালিকপক্ষ অযৌক্তিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টনই প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিফলন। এতে ছোট দলগুলো প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে, ভোটের মর্যাদা বজায় থাকবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ইসলামী আন্দোলন এমন এক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে যেখানে কেউ খাদ্যের জন্য সংগ্রাম করবে না, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব থাকবে না, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসাইন, যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
এম