রাষ্ট্রপতির ওপর ক্ষোভ, এবারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭, ০৯:০৮ পিএম

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদাকে ‘জনতার মঞ্চে’র অন্যতম সংগঠক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া সরকারি চাকরি বিধির লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পুনর্গঠিত ইসি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নবগঠিত ইসির সিইসি হওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি নন তিনি। এই ইসির অধীনে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না, সেটা অনেক পরের ব্যাপার। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়ে আসছে, সামনেও অংশ নেবে।

ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে এমন মন্তব্য করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল। বিএনপির শীর্ষ নেতার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি নতুন সিইসিকে আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য যোগ্য মনে করছে না। বিকল্প হিসেবে তাই তারা এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার পরিকল্পনা করছে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এমন ইঙ্গিতই করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে কারও পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় সহায়ক সরকার দরকার।’

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়ার কথা উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, বিএনপি সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবে এবং সরকারকে আলোচনার জন্য উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাবে। কারণ রাষ্ট্রপতিকে বলার কাজ শেষ হয়ে গেছে। তিনি ‘অপকর্ম’ যেটা করার সেটা করে ফেলেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেয়া হবে। এটি নিয়ে সরকার আলোচনার উদ্যোগ না নিলে দায় তাদেরই নিতে হবে।’

তবে নতুন সিইসিকে ‘জনতার মঞ্চে’র অন্যতম সংগঠক হিসেবে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযুক্ত করেছেন তা অস্বীকার করেছেন সিইসি নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ওই তথ্য সঠিক নয়। আমি তখন কুমিল্লার ডিসি ছিলাম। আমি জনতার মঞ্চে যোগ দেইনি।

এদিকে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে না গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করতে পারবেন না।
সোমাবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

সোনালীনিউজডটকম