‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ০৪:০৫ পিএম

ঢাকা: সরকার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কোনো নির্বাচন হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, হয়রানি করার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা সবগুলো মামলা চলমান রাখা হয়েছে। এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আবারও অভিযোগ করেন তিনি।

 ‘দুর্নীতি প্রমাণ হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবেই’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তারা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র আঁটছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছেন। গত শুক্রবারও জার্মানির মিউনিখে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রমাণ হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবেই’। সেখানে তিনি আরও বলেন-জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ চলমান বিচারাধীন মামলাগুলো সবই ১/১১-তে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা, কিন্তু বাস্তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ বেশিরভাগই করা হয়েছে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। দুদককে ব্যবহার করে এই মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে তাদেরই আমলে।’

রিজভী বলেন, ‘যেসব মামলা ১/১১ সরকারের সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল সেগুলোও তারা পুনরায় চালু করেছে। অথচ একই মামলাতে শেখ হাসিনারও নাম ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ১/১১ এর সরকার যতগুলো মামলা দিয়েছিল তার তিন গুণ মামলা হয়েছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি ১৫টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।'

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনার মামলাগুলো হাওয়ায় উড়ে গেল কিভাবে? প্রধানমন্ত্রী তো আইন মোকাবেলা করে সে মামলাগুলো থেকে মুক্ত হননি। সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অনেক মামলাতেই স্বয়ং তার ভাই এবং তার দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেশবাসী ভুলে যায়নি। এর চেয়ে বড় সাক্ষী আর কী হতে পারে? কিন্তু ক্ষমতাসীন হয়েই শেখ হাসিনার মামলাগুলি প্রত্যাহার হয়ে গেল কোন যাদু মন্ত্রবলে? ক্ষমতায় থাকলে যে নিজের মামলা তুলে নেয়া যায় এবং অন্যের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ