জনপ্রিয়তাই নিবন্ধনের মাপকাঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০১৭, ০৬:৫৮ পিএম

ঢাকা: দলের নিবন্ধন বাচাঁতে যদি শেখ হাসিনার কোনো কালো আইন মেনে নির্বাচনে যেতে হয় তাহলে সেটি প্রকৃত নির্বাচন হবে না। সেটা হবে প্রহসনের নির্বাচন। জোর করে তামাশার নির্বাচন, বাধ্য করার নির্বাচন হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হচ্ছে জনগণ। জনগণের মধ্যে যে রাজনৈতিক দল জনপ্রিয়, সেটাই নিবন্ধনের মাপকাঠি। তারপরেও আইন থাকলে তা মান্য করতে হয়। কিন্তু সে আইন যদি কালো আইনে পরিণত হয়, কোন ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের সহায়ক হয়। তাহলে তো সে আইন মান্য না করাই বড় কাজ, বড় দায়িত্ব।’

এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে প্রশাসনকে সাজিয়ে রেখেছে তাতে তো কোনভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের মাঠ সমতল এবং সমান করতে হবে।’

বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লাইসেন্স নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন। নানা তামাশার পরে বর্তমান ইসি গঠন করা হয়েছে। আমরা সেদিনই বলেছিলাম, বাকশালী সার্চ কমিটি করা হয়েছে। সেটি দিয়ে বাকশালী ইসি গঠিত হওয়া ছাড়া ভাল কিছু হবে না। সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে। নিরপেক্ষতার ন্যুনতম খোলসটুকুও বর্তমান সিইসির মধ্যে নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।

নিবন্ধন হারানোর ভয়ে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এসব বক্তব্য হচ্ছে তার নিজের বক্তব্য। এটা কোনো বক্তব্য হতে পারে না। তিনি বলেন, যদি শেখ হাসিনার অধীনে রেজিস্ট্রেশন রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করতে হয় তাহলে সেটা প্রকৃত নির্বাচন হবে না। জোর করে তামাশার নির্বাচন, বাধ্য করার নির্বাচন হবে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে দলের এ নেতা বলেন, এরকম প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তো আমরা লড়াই করেনি। আমরা লড়াই করছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন। এটাই হচ্ছে আমাদের অভজেকটিভ।

জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে বা তত্ত্বাবধানে হলে তা নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ হবে না। মাঠ সমতল হবে না বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সহায়সক সরকার, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই বলুন সেটা একটা নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। তাহলেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা ইউনুস মৃধা এবং কাজী আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/আতা