১৪ দলে ঢুকতে চায় ইসলামিক ফ্রন্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৩, ২০১৭, ০৯:৪৩ পিএম

ঢাকা: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিতে চাচ্ছে ‘ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’। শনিবার (১৩ মে) দলটির নেতারা রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (ইসলামিক ফ্রন্ট) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন।’

সেক্ষেত্রে ইসলামী দলটিকে জোটে নেয়া হচ্ছে কি না- প্রশ্ন করা হলে নাসিম বলেন, ‘আমরা উনাদের বলেছি ১৪ দলের একটি নীতি আদর্শ আছে। সে অনুযায়ী তাদের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র দেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাব।’

ইসলামিক ফ্রন্টের নেতা মাওলানা সৈয়দ বাহাদুর শাহ এবং মাওলানা জয়নাল আবেদিন জুবায়েরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধিরা ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

নাসিম বলেন, ‘তাদের ধন্যবাদ জানাই যে, তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইচ্ছে পোষণ করেছেন।’ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে বেশিরভাগ দল অসাম্প্রদায়িক আদর্শের, রয়েছে বাম দলও। সুফিবাদী দল তরীকত ফেডারেশন রয়েছে জোটটিতে। জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী ইসলামিক ফ্রন্ট সুন্নি মতের অনুসারী।

ইসলামী ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে ১৪ দলের একটি বৈঠক হয়, যাতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০’ এর প্রতিক্রিয়ায় ১৪ দলের পক্ষে নাসিম বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ভিশনের প্রথমেই জনগণের কাছে তাদের অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল।’

জঙ্গি মদদের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে একটি ভ্রান্তির মধ্যে ফেলে ক্ষমতায় আসতে চান তারা। নির্বাচনে আসতে চান ভাল, আমরা স্বাগত জানাই, আমরা আশা করব জ্বালাও-পোড়াও বাদ দিয়ে আসবেন, কিন্তু অতীতকে ভুলে গেলে হবে না।’

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে খালেদার ‘ভিশনে’ কোনো বক্তব্য না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে নাসিম বলেন, ‘সুতরাং তারা মুক্তিযুদ্ধের কী চেতনা বাস্তবায়ন করবেন, তা জনগণ বুঝে গেছে। নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে তো দূরের কথা নারীর অধিকার নিয়েও তিনি একটি কথা বলেননি।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ