আওয়ামী লীগের লুট করার বাজেট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৭, ০৯:৩১ পিএম

ঢাকা: জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটকে আওয়ামী লীগের চুরি ও লুট করার বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, এই বাজেট লুটপাটের বাজেট। এ বাজেটে আওয়ামী লীগকে চুরি করার সুযোগ দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, এ বাজেট তো আর অর্থমন্ত্রীর না, এ বাজেটও তৈরি হয় হাসিনার কথামত। কাজেই হাসিনা যা চান বাজেট তাই। আর এই বাজেট কি আর বাজেট থাকবে নাকি। পরে দেখবেন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ হাজার বাড়িয়ে নেবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনারা সবই জানেন দেশের বর্তমানে কি অবস্থা। বিচার বিভাগেরও আজ কি দুরবস্থা, সেটা আমরা প্রধান বিচারপতির বক্তব্য পড়লেই বুঝতে পারি।

তিনি বলেন, বিচারকরা ন্যায় বিচার করতে চান। বিচারকরা সুবিচার দিতে চান। কিন্তু প্রধান বিচারপতির বক্তব্য থেকে আমরা বুঝেছি যে, নিম্ন আদালত পুরো সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে সরকার যে নির্দেশ দেয় বিচারকদের সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে হয় এবং সে রায় দিতে হয়। যদি বিচারক দেখে যে বিচারপ্রার্থী নিরপরাধ। ওই বিচারক যদি তার বিবেক মতো রায় দেন তাহলে তাকে হয় চাকুরিচ্যুত হতে হয়, নয়তো দেশ ছাড়া হতে হয়। না হলে মামলা হামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, দেশের এই অবস্থা করার জন্য নয়। আজকে দেশটা ধ্বংস করেছে এই আওয়ামী লীগ। এখন বিচারকসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণের উচিত জেগে ওঠা, ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ন্যায় বিচার ও সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা।

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভয় পায় দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে বার বার নির্বাচত হয়। এখনও বিএনপি জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে। আমরা বলেছি, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে হবে। যেখানে সবাই অংশগ্রহণ করবে জনগণের ভোটে নির্বাচতি হবে আমরাও তাদের মেনে নেব।

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে ৫ জানুয়ারির মতো আরও একটি নির্বাচন করতে। কিন্তু সেই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করবে না। কোন দল অংশগ্রহণ করবে না। তারপরও যদি আওয়ামী লীগ জোড় করে নির্বাচন করে তাহলে তাদের সেই নির্বাচন থেকেই বিদায় নিতে হবে।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মহাসবিচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ