স্বাধীন আরাকানই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান: ইসলামী ঐক্যজোট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭, ০৫:১৯ পিএম

ঢাকা: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। শুক্রবার জুমা’র নামাজের পরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় ও আশেপাশের সড়কে বিক্ষোভ করে তারা।

মিছিল-সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন প্রমাণ করেছে মুসলমানদের পক্ষে কেউ নেই। এজন্য নিজেদের রক্ষায় মুসলমানদেরই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না।

সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে। সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষিবাহিনী নিয়োগ করতে হবে এবং নিরাপদ জোন গড়ে তুলতে হবে।

আব্দুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি আবু তৈয়ব হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, যুগ্ম-মহাসচি মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন প্রমুখ।

নেজামী আরও বলেন, উগ্র বর্মীয় সেনাবাহিনী, অং সান সু চি এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আরাকান এক সময় স্বীধন রাষ্ট্র ছিল।

১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হওয়ার পর আরাকান পরাধীন হয়ে পড়ে। তাদের উপর মগ দস্যুদের অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়।

তারপরও বার্মা সরকারে রোহিঙ্গারা এমপি ছিলেন। এখন তাদের বাঙালি আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। তাদের হত্যা করে লাশের স্তূপ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। সবখানে শুধু রক্ত আর রক্ত। আমরা মুসলিমদের এ রক্ত সহ্য করতে পারছি না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এখন ফরজ হয়ে গেছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আরাকানের স্বাধীনতার জন্য জিহাদের ঘোষণা দিন। দেশের কোটি জনতা লংমার্চ করে আরাকান দখল করে সেখানে পতাকা তুলে দিয়ে আসবে। স্বাধীন আরাকানই চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গারা মুসলিম না হয়ে অন্য ধর্মের হলে বিশ্বশক্তিগুলো চুপ করে বসে থাকতো না। এজন্য তিনি বর্তমান জাতিসংঘের বিকল্প মুসলিম জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহবান জানান।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রশীদ মজুমদার, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, পীরজাদা সৈয়দ মো: আহসান, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আবুল হাসিম, নুরুজ্জামান প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা