দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম যে নির্দেশ দিলেন তারেক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮, ০৬:৩৮ পিএম

ঢাকা: এক মুহূর্ত দেরি না করে আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রায়ের পর অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। এসময় তিনি কাঁদছিলেন বলে জানিয়েছে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

সানাউল্লাহ মিয়া জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায় শুনে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠেন তারেক রহমান।

এসময় আর এক মুহূর্ত দেরি না করে আপিল করার নির্দেশ দেন তারেক রহমান। কান্না জড়িত কণ্ঠে তারেক রহমান বলেন,‘ওরা আমার মাকে মেরে ফেলবে।

এদিকে রায় শুনে লন্ডনে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

জানা গেছে, তারেক জিয়া বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রায়ের সংবাদ শোনেন। এসময় তারেক জিয়ার পরিবারের সঙ্গে ছিলেন লন্ডন বিএনপির দুজন নেতা, জিয়াউর রহমানের দুঃসম্পর্কীয় এক আত্মীয়।

জানা যায়, রায়ের আগে গুলশানে বেগম জিয়া যখন তাঁর বাসভবন থেকে বের হন তাঁর আগেই তার পুত্রের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তারেক এবং তার পরিবার বাংলাদেশি টেলিভিশনের সামনে বসেন। রায়ের পর তারেক জিয়া কাঁদতে কাঁদতে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেযারম্যান তারেক রহমানে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। অন্যান্য ৫ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

সোনালীনিউজ/জেএ