নেতাদের উদ্দেশে খালেদার শেষ বাক্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮, ১১:২৪ এএম

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে এখন জেল আছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পুরনো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায় দেন। 

ওই দিনই তাকে রাজাধনীর নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বন্দি বলতে খালেদা জিয়া একাই। কারাগারে নেয়ার আগে আদালতে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে কয়েকটি কথা বলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। তারা সংবাদমাধ্যমের কাছে খালেদা জিয়ার শেষ কথা উপস্থাপন করেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘মেডাম বলেছেন ঘাবড়াবা না, শক্ত থাকবা, এক সাথে থাকবা, সুন্দর করে মিলেমিশে থাকবা। টেশন করবা না; উল্টো তিনিই আমাদের বলেছেন।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘মেডামের সঙ্গে কেউ যাইনি, আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের ল’এয়ার বিচারকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু দেখা পাননি।’ 

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘মেডাম জিয়াকে শেখ হাসিনার ভয়, তাই তাকে মিথ্যা মামলায় আজ জেলে পাঠিয়েছে।’

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন আসামি। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই