কেনো স্বৈরাচার বলা হয়, প্রশ্ন এরশাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮, ১০:১৬ পিএম

ঢাকা: স্বৈরাচার শব্দটি রাজনীতিতে মাঝে মাঝেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। স্বৈরাচার তকমা নিয়ে গত ২৮ বছর আগে ক্ষমতা ছেড়েছেন। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝেই তাকে কেনো স্বৈরাচার বলা হয় এমন প্রশ্ন তোলেন এরশাদ।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে অবস্থিত জাপা কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী সমাজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেনে, আমি এমন কী করেছি যে আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়! বরং নতুন করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন,আমি কখনোই স্বৈরাচার ছিলাম না, কেউ যদি আমাকে স্বৈরাচার বলে দাবি করে তাহলে প্রমাণ হাজির করুক।

এরশাদ বলেন,অনেকে আমাকে ‘স্বৈরাচার’ বলেন। কিন্তু আমি কী স্বৈরাচারী করেছি খুঁজে পাই না। আমার রাষ্ট্রের দায়িত্ব (ক্ষমতা) নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না, জাস্টিস সাত্তারের (সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার)অনুরোধে দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তিনি তখন দেশ চালাতে অপারগ ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ভোট বর্জন করলো। তখন বাধ্য হয়ে দল গঠন করেছি। জনগণের সেবার চেয়ে বড় ভালো কাজ কোথাও নেই।

বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার কথা তুলে ধরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বাংলা ভাষার জন্য অনেকে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু কেউ সর্বস্তরে বাংলা চালু করেনি, আমি চালু করেছি। এর জন্য ১৯৮৭ সালে সংসদে আইন পাস করেছি। আইনে ছিল, ইংরেজি সাইনবোর্ড হলে নিচে বাংলা থাকতে হবে। এখন সরকার সেটা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমিই প্রথম সাইনবোর্ডে বাংলা লেখা চালু করি, আমিই অগ্রদূত।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সুনীল শুভরায়, মেজর অব.খালেদ আখতার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ডা. ফাহিম আল ফয়সাল ও ডা. জাফর মিয়ার নেতৃত্বে ৫৬ জন পেশাজীবী জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় পেশাজীবীদের আহ্বায়ক কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন পার্টি প্রধান এরশাদ।

সোনালীনিউজ/আতা