খালেদাকে নিয়ে বাকযুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল ও জয়নুল আবেদীন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০১৮, ১২:০৮ পিএম

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জয়নুল আবেদীন বলেছেন, খালেদা জিয়ার মামলার নথি তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার পর তা নিু আদালত থেকে আসার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট। তাই আমি মনে করি, আজই (গতকাল) মামলার নথি হাইকোর্টে আসবে। আর যদি না আসে, তাহলে আমরা মনে করব সরকার ইচ্ছে করেই নথি পাঠাতে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বিচারিক আদালত থেকে নথি কখন আসবে তা আমাদের জানার কথা নয়। এটা আদালতের বিষয়।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জয়নুল আবেদীন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন। তার বক্তব্যের জবাবে দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, এই মামলায় নিু আদালতের নথি কখন আসবে তা আদালতের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সাজা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামিন পেয়ে যাবেন এমনটি কল্পনা করা ঠিক নয়। তারা উচ্চ আদালতে এসেছেন। আদালত যখন মনে করবেন জামিন দেবেন।

বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা হাইকোর্টেও বহাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের ব্যর্থতার দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, এটা দুঃখজনক। আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার আইনজীবীরা বক্তব্য দিয়েছেন, আমরাও দিয়েছি। এখন আদালত মনে করলে তাকে জামিন দিতেও পারেন।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন জয়নুল আবেদীনের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেইনি। আইনি যুক্তি যা ছিল তাই বলেছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আÍসাৎ করেছেন এ কথা বললেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রেগে যান। আইনজীবীদের পেশাগত জায়গা থেকে তারা এটা করতে পারেন না।

আইনজীবীদের ভুলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন জয়নুল আবেদীন।

আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিচারিক আদালত থেকে এ মামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। তারা দুজনেই আইনমন্ত্রী থেকে সিনিয়র। তাদের ভুল নয়, বরং সরকারের দুরভিসন্ধিতে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্ব হচ্ছে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন রকম বক্তব্য উপস্থাপন করছে, যাতে করে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ছড়ানোর তিনটি উদ্দেশ্য।

প্রথম উদ্দেশ্য হলো, বেগম খালেদা জিয়া যাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হতে না পারেন।

দ্বিতীয় হচ্ছে, আইনজীবীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। তৃতীয় হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সম্পর্কে মানুষের যাতে বিষোদগার সৃষ্টি হয়।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমরা আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ এবং সমন্বিতভাবেই কাজ করছি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন