সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৮, ০২:৫৫ পিএম

ঢাকা : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে আশা করছে এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সম্মিলিত জোট।

শনিবার (২৪ মার্চ) এই সমাবেশের পর রাজনীতিতে বিবর্তন-পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন জোটের প্রধান দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

সমাবেশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জাতীয় সম্মিলিত জোট। এতে জাপা মহাসচিব বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সুনীল শুভ রায়, আলমগীর সিকদার লোটনসহ জোটের নেতারা।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে আসবেন। আশা করছি অতীতের ইতিহাস ভেঙে এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে। দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সমর্থন দেবে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের আছে।

জাতীয় পার্টির ওপর একের পর এক হামলা-মামলা চালানো হয়েছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, এরপরও এরশাদের শাসনামলের উন্নয়নের বিবেচনায় পরবর্তী সরকারের শাসনামলের গুণগত পার্থক্য কী, তা নিয়ে আমরা কথা বলছি, বলব।

বিএনপির হামলা-মামলা প্রসঙ্গে বলেন, আমরাও মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিনা কারণে আমাদের চেয়ারম্যান এরশাদ অর্ধযুগ কারাবাস করেছেন।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আগামীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুতি পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

বিএনপি বার বার সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পায় না, অথচ অনুমতি চাওয়া মাত্রই জাতীয় পার্টি সমাবেশের অনুমতি পেয়ে যায়। তাহলে জাতীয় পার্টির প্রতি সরকারের সদয় দৃষ্টি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই আবেদন করেছি। সে কারণে পেয়েছি। আমাদের দাবি ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বইমেলা থাকায় তখন অনুমতি পাইনি। আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় ২৪ মার্চ।’

জাপা মহাসচিবকে প্রশ্ন করা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে ফেলার মতো লোক তাদের জোটে আছে কি না? আওয়ামী লীগ থেকে নেতাকর্মী ধার নিয়ে সমাবেশ পূর্ণ করা হবে কি না? জবাবে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের চোখ নিশ্চয়ই ফাঁকি দেওয়া যাবে না। তবে কেউ যদি স্বাগত জানাবার অভিপ্রায়ে সমাবেশে আসে তাহলে আমরা ফিরিয়ে দেব না।

সংবাদ সম্মেলনে জোট নেতারা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে পৃথকভাবে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট। ইতোমধ্যে ৯০০ প্রার্থীর খসড়া তালিকাও জোটের চেয়ারম্যানের হাতে আছে। জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই