‘নিয়মতান্ত্রিক অন্দোলনে আ.লীগের জ্বালা বাড়ছে ’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৮, ০৩:৩৭ পিএম

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন বিএনপি তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের জ্বালা বাড়ছে। কেননা তারা ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ফাসানোর কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। 

রোববার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘স্বৈরতন্ত্রের কবলে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে নেমে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। আর সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদেরকে প্রস্তুত রেখেছিল পেট্রোল ও লাঠিসোটা নিয়ে। তারা নিজেরা অনাসৃষ্টি বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে বিএনপির উপর দোষ দেয়ার এই মতলব আমরা টের পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমরা আমাদের নেত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে নেমেছি। তবে এতে তাদের জ্বালার পরিমাণ বেড়ে গেছে। কেননা তাদের ষড়যন্ত্র সম্পূর্ণ হয়নি। তাই তারা বিভিন্ন রকমের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে আটক করে কারাগারে নিক্ষেপ করছে।

ওবায়দুল কাদের বেশি কথা বলেন উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, তাকে ছাত্র রাজনীতিতে এনেছিলাম আমি। তাই আমি জানি বেশি কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে তিনি কয়েকটা সত্য কথাও বেফাঁস বলে ফেলেন। বেশি কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও নির্বাচনের পূর্বে নির্দলীয় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের নজির নাই। আমি পৃথিবীর নজিরের কথা বাদ দিলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের ইতিহাস কি তিনি জানেন না? জানলে এরকম উক্তি কীভাবে উচ্চারণ করেন?

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি আরেকটি উদাহরণ তাঁকে খুঁজতে বলব, পৃথিবীর যেসব দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু আছে সেসব দেশে একটি সংসদ চালু থাকতে কিভাবে আরেকটি সংসদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? আরে বেশি কথা বলার সময় যে সত্য কথা অনেকবার বলেছে ফেলেছেন, আওয়ামী লীগ কাউয়াদের দল। আওয়ামী লীগ হাইব্রিডের দল। আবার বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হলে পিঠের চামড়া থাকবে না, যে টাকা উপার্জন করেছে তা নিয়ে পালাতে পারবে না। এছাড়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। এটা অবশ্যই একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত।

সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবু খায়ের ভূইয়া, ড. মনিরুজ্জামান মনির, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. নিপুণ রায় চৌধুরী, শাহরিয়া ইসলাম সায়রা, এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদ উদ্দীনসহ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/জেএ