‘এ বাজেট গরীবদের গরীব ধনীদের আরও ধনী করবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৮, ২০১৮, ০৪:৫৯ পিএম

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট গরীবকে আরও গরীব করবে, ধনীদেরকে আরও ধনী করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (৮ জুন) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ। 

রিজভী বলেন, বাজেটে ব্যাংক লুটপাটকারীদের আরও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের কর্পোরেট কর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাংক মালিকরা যা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী তাই করেছেন।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বশেষ লুটপাটের জন্যই এ বিশাল বাজেট পেশ করা হয়েছে। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাজেট বড় করা হয়েছে। বাজেটের আকার বড় করে জনগণের সঙ্গে ধাপ্পাবাজি করা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বাজেটে যে বড় ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করা অসম্ভব। সে জন্য ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর ঝুঁকতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেট কর, ঋণ আর বিদেশি অনুদান নির্ভর। বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা হবে। যা জনগণের রক্ত চুষে আদায় করতে হবে। এক কথায় বলা যায়, প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের রক্তচোষার লুটের বাজেট।

চলতি আয়-ব্যয়ে বিশাল ঘাটতি থাকবে, কারণ আমদানি ব্যয় বাড়ছে, রফতানি আয় কমছে। রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূলস্ফীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.৮। বিশ্বব্যাংকসহ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রবৃদ্ধি ৭ এর নিচে থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭.৮ প্রবৃদ্ধি অসম্বব। প্রস্তাবিত ৭.৮ প্রবৃদ্ধি ডাহা মিথ্যাচার। এ বাজেট গণবিরোধী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ বাজেট সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখান করছে।

সোনালীনিউজ/জেএ