দলবাজ কর্মকর্তারা গাজীপুরে : বিএনপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

ঢাকা : সরকার সারা দেশ থেকে দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের গাজীপুরে জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক দিন আগে সোমবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পুলিশের গাড়িতে চড়ে যে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন তা থেকে স্পষ্ট হয়েছে গাজীপুরে কী নির্বাচন হবে।  

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরো বলেন, খুলনার মতো গাজীপুরেও ভোট ডাকাতির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। ফলে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের এখন প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তারা গত রোববার রাতে গাজীপুরে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ১১নং ওয়ার্ড যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজ ও ৪৭নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আমজাদ হোসেন জনাসহ ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির কাজ সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পাইকারি হারে গ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল­াশি, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের গ্রেফতার, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারি আগ্রাসন চলছে সমভাবে।

ফলে গাজীপুরের ভোটে জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে- এমন কোনো পরিবেশ এখনো দৃশ্যমান নয়। জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা গভীরতর হচ্ছে। তবে ভোট যদি কিছুটা সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তাহলে ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না বলেও উলে­খ করেন বিএনপির এ নেতা।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় থাকতে পছন্দ করে না এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা থেকে সরে যেতেও পছন্দ করে না। তাই তো নির্বাচন ঘিরে এ পর্যন্ত বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিএনপি এসব নেতার মুক্তির দাবি জানাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রিজভী বলেন, কয়েক দিন আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, গাজীপুরে খুলনার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। তার মানে খুলনায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট সন্ত্রাসের যে অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল তা সঠিক বলে প্রমাণিত হলো। সেখানে যে ভোট কারচুপি ও অনিয়ম ঠেকাতে কমিশন ব্যর্থ হয়েছে তা সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হলো।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শামসুজ্জামান সুরুজ, খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই