যশোর-৪ আসন

অনিয়মের ফাঁদে আ.লীগ, সুবিধায় বিএনপি!

  • যশোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, ১১:৫৯ এএম

ঢাকা: চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে আওয়ামী লীগ নেতা বানানো, জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এমপি রনজিতের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়ে, নৌকার প্রার্থী হতে ভোটের মাঠে অন্তত ৫ নেতা। তবে একক প্রার্থী নিয়ে যশোর-৪ আসনে সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে মালোপাড়ায় সহিংসতার প্রথম শিকার এই ব্যক্তি। ওই সময় তিন দফা হামলা হয় এই এলাকায়। বিশ্বজিতের অভিযোগ, এরপর আর কেউ খবর রাখেনি তাদের।

সহিংসতার পর বসেছে পুলিশ ক্যাম্প। তারপরও ভোটের খবর স্বস্তির নয় বাসিন্দাদের কাছে।

২০১৪ সালে নির্বাচনের ভর সহিংসতার শিকার হন অভয়নর-মালোপাড়ার ভোটারারা। আসন্ন নির্বাচনে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি হলে বা রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলে, এবার আর ভোট দিতে যাবেন না বলছেন ভোটাররা।

অভয়নগর ও বাঘারপাড়া নিয়ে যশোর-৪ আসন। এবারও ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য। তবে তার পাশাপাশি গণসংযোগে সাবেক হুইপ আব্দুল ওয়াবসহ পাঁচ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তৃণমূলের অভিযোগ, জামায়াত নেতা আব্দুল মতিনকে ২২ লাখ টাকায় স্থানীয় বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন বর্তমান এমপি।

আর এসব অভিযোগে কথা বলতেও রাজি নন এমপি রনজিত কুমার রায়। এদিকে প্রার্থী পরিবর্তনের কথা বলছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারাও।

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনের ক্ষমতাসীন দলের কোন্দলের কারণে জয় আশা বিএনপির। বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি টিএস আইয়ুবই হতে পারেন ধানের শীষের প্রার্থী।

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা প্রায় না থাকায়, ভোটাররা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে গেলে লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন