‘ডাকসু নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যা চেয়েছেন, তাই হয়েছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০১৯, ০৯:১২ পিএম
ফাইল ফটো

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট তো হয়নি, প্রধানমন্ত্রী যা চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (গণভবন) যা চেয়েছে, তাই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, এটা কি আমাদের সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়, এটা কি বায়ান্নোর আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়, এটা কি ঊনসত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়, নব্বইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়? এটা এখন শেখ হাসিনার আমলের বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন দুদু।

এ সময় প্রশ্ন রেখে কৃষক দলের আহ্বায়ক বলেন, ডাকসু নির্বাচন তো হয়নি। এখানে আবার ভোটের সংখ্যা কী? কে বেশি, কে কম, কার কত ভোট এসব আলোচনা কেন?

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিশাল মিছিলের কথা উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সর্বশেষ যত বড় মিছিল করেছে এত বড় মিছিল ছাত্রলীগ কি করতে পেরেছে? ১২ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল যত বড় মিছিল করেছে ১২ বছর ছাত্রলীগ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পারতে তাহলে ছাত্রলীগ নামের কোনো সংগঠনই থাকত না।

নুরকে আনা হয়েছে এটা নিয়ে এত সম্মান করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করে ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এটা ছাত্রলীগেরই একটা অংশ। সকালে এক কথা বলে, দুপুরে এক কথা বলে, বিকালে আরেক কথা বলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমরা ছিলাম যা বলেছি তাই করেছি। নব্বইয়ের আগে ডাকসু নির্বাচনে কারা জিতেছিল? ছাত্রদল। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা সর্বশেষ ডাকসুর পদে ছিল, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ বছর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আব্দুর রাজি প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম