বিদেশে আওয়ামী লীগ করা লাগবে না-ক্ষুব্ধ কৃষিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ০৮:৩৯ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। নিজ নিজ কমিটির পক্ষে বৈধতা আদায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এতে ক্ষুব্ধ-বিরক্ত কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ভৎসনা করে বলেন, বিদেশের মাটিতে আপনাদের আওয়ামী লীগ করা লাগবে না। আপনাদের আওয়ামী লীগ করার দরকার নাই। কিসের আওয়ামী লীগ করেন আপনারা?

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাকের নেদারল্যান্ডস সফর উপলক্ষে শনিবার (২ জুলাই) প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময়ের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কৃষিমন্ত্রীর সামনেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ কৃষিমন্ত্রীর পাশাপাশি দূতাবাস কর্মকর্তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায়।

জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহিদ ফারুক। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মুরাদ খান। দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি না হওয়ায় মুরাদ খান ও তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মুরাদ খান পুরনো কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার দাবি, বছরের পর বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে আছেন মাহিদ খান ও মোস্তফা জামান। মুরাদ খান কৃষিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। কাজেই গণতন্ত্র অনুযায়ী এ সমস্যার সমাধান আপনি করতে পারেন। 

বক্তৃতার এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির পর শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। বিব্রত মন্ত্রী এবং অন্যরা পরিস্থিতি সামলাতে স্টেজ ছেড়ে ফ্লোরে নেমে আসেন এবং দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের বেগ পেতে হচ্ছিল। এ সময় ‘বিদেশের মাটিতে কারো আওয়ামী লীগ করার দরকার নেই’ বলে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান কৃষিমন্ত্রী।

এর আগে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাখা বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একসময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দুর্যোগেও দেশে এখন খাদ্য সঙ্কট হয় না। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতে অনেক উন্নত হয়েছে। এটিকে আমরা আরো উন্নত করতে চাই। তবে কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে না পারলে এটি সম্ভব হবে না। কেননা ফসলের উৎপাদন একটু বেশী হলেই কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। সেজন্য আমরা কৃষি রফতানি বাড়াতে কাজ করছি। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নেদারল্যান্ডস বিশ্বে দ্বিতীয়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ফসল উৎপাদনে দেশটি বিশ্বের উদাহরণ। তাই আমরা নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। সভায় প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য আনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।

সোনালীনিউজ/আইএ