মুক্তিপণ দিয়েও বাঁচানো গেল না প্রবাসীকে

  • মালয়েশিয়া সংবাদদাতা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম

অপহরণের ১১ দিন পর মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সোহেল মিয়ার (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী কুয়াললামপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সেলাঙ্গর রাজ্যের সেরিকাম বাগানের তামিং জায়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১০ নম্বর রোডের একটি কারখানার পেছনের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সোহেলের প্রবাসী স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাজাং ওসিপিডির সহকারী কমিশনার মোহম্মদ জাইদ হাসান বলেন, ‘মরদেহে পচন শুরু হয়েছিল এবং হাত ও মুখ টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল।’

তিনি জানান, অপহরণের ঘটনায় আটক ৪ প্রবাসী বাংলাদেশির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেলের মামা মিজানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কাজাং থানা পুলিশ অভিযান শুরু করেছিল। আজ সকালে সারডাং হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে আসার পর সোহেলের মামা মিজান তার মরদেহ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে কুয়ালালামপুরের তামিলজায়া এলাকায় নিজ বাসার কাছ থেকে সোহেল মিয়াকে অপহরণ করা হয়। তাকে ‘মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বরিশালের একটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে অপহরণকারীদের দাবি করা ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণও পাঠায় তার পরিবার। কিন্তু এরপরও মুক্তি না পাওয়ায় মালয়েশিয়ায় ২টি ও দেশে ১টি মামলা করে সোহেলের পরিবার। এ ছাড়াও, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনেও সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়।

সোহেল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দক্ষিণ ধলাপাড়া গ্রামের মরহুম আহমেদ মিয়ার ছেলে। ১৫ বছর ধরে তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী। সেখানে তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন।

কাজং পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ অক্টোবর বিকেলে বেরানং এলাকা থেকে ২ বাংলাদেশি এবং পরদিন সেমেনিহে এলাকা থেকে আরও ২ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মামুন শিকদার ও আলমগীরের নাম প্রকাশ হলেও তদন্তের স্বার্থে বাকি ২ জনের নাম এখনো জানা যায়নি পুলিশ।

সোনালীনিউজ/এম