স্যার ভয়ে বারবার টয়লেট ও প্রস্রাবের চাপ ধরে

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম

ঢাকা : ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযানের শুরুতেই ততটা আতঙ্ক ছিল না। ক্যাসিনোতে উপস্থিত জুয়ারি ও কর্মচারীরা ভেবেছিলেন, মালিক যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা তাই বিষয়টা তিনি ম্যানেজ করে ফেলবেন। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন, ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোর মালিকের। কিন্তু বিকাল-সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাসিনোতে উপস্থিত জুয়ারি ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। তখন তারা বুঝে যান; এই যাত্রায় তারা ছাড় পাচ্ছেন না। এ সময় অনেকেই কান্নাকাটি শুরু করেন। ক্যাসিনোতে আটক ১৪২ জনের অনেকেই বয়স ছিল ৫৫ থেকে ৬০। কাউকে দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমাতেও দেখা যায়। এসময় বাকিরা  হাটুগেড়ে বসে ছিলেন ফ্লোরে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় লক্ষ্য করা যায়, র‌্যাবের এক কর্মকর্তা ধমক দিয়ে এক যুবককে বলছেন, ‘ওই তোর বয়স কতরে, তোর কি ডায়াবেটিস আছে, একটু পরপর টয়লেটে যেতে চাস কেন?’ ধমক শুনে সুঠাম দেহের ওই যুবক আঁতকে উঠে বলেন, ‘স্যার আমার বয়স ১৮ বছর, আমার ডায়াবেটিস নেই, ভয়ে বারবার টয়লেটের চাপ ও প্রস্রাব ধরে। স্বপ্নেও ভাবিনি এমন বিপদে পড়বো। দয়া করে আমারে ছেড়ে দেন, আমি আর এ কাজ করব না।’

এর আগে দুপুর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশান-২ এর বাসাটি ঘিরে রাখে অর্ধশতাধিক র‌্যাব। এরপর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযানটি চালায় র‌্যাব। এ সময় সেখান থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা, জুয়া খেলার বিভিন্ন সামগ্রীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এএস