ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০৪:৪৫ পিএম

ঢাকা : রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন তুরাগ নদী বিভক্ত করেছে ওপারের কাউন্দিয়া আর তুরাগপাড়। যদিও কাউন্দিয়া ইউনিয়ন ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার মধ্যে পড়েছে।

তারপরও ওপারের কয়েক লাখ মানুষের ব্যবসা, বাণিজ্য এপারের মিরপুরকেন্দ্রিক। কাউন্দিয়ার ভেতরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে বেড়িবাঁধ। আর এই বেড়িবাঁধের একটি রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় প্রায় এক মাস ধরে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

এ রাস্তা দিয়ে আর চলছে না মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, রিকশা বা ভ্যান। ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য তারা পরিবহন করতে পারছে না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

সরেজিমনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধটি কাউন্দিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের সঙ্গে যুক্ত। তবে চলাচল প্রায় পুরো ইউনিয়নবাসীর। ঘনবসিতপূর্ণ এ এলাকায় বসবাস এক লাখের ওপর। কিন্তু  বেড়িবাঁধের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ফলে বেড়েছে দুর্ভোগে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, বাঁধটি ভালোই ছিল। কিন্তু রাস্তার দুপাশে বালু ফেলার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন,  চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান শান্ত, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অহিদুর রহমান, হাজি জহির এবং জাবেদের লোকজন এসব বালু অপরিকল্পিতভাবে ফেলেছিল। যার কারণে পুরো ইউনিয়নবাসী এখন ভোগান্তীর শিকার হচ্ছে। এক মাস হতে চললেও এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

আলমগীর হোসেন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা খুবই দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি। রাস্তাটি ভাঙার ফলে মানুষের চলাচল খুবই বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বালু ফেলানোর সতর্ক থাকলে এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হতো না। লাখ লাখ মানুষ এ রাস্তায় চলাচল করে। এই চিন্তাটুকু তাদের করা উচিৎ ছিল। গায়ের জোরে বালু ফেলতে গিয়ে লাখো মানুষকে সমস্যায় ফেলেছেন তারা।

তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান এলাকার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি নির্মাণ করেছিলেন। সেটি বর্তমান চেয়ারম্যান সংস্কারের উদ্যোগ তো নেননি উল্টো বাঁধটি বালু ফেলার কারণে ভেঙে গিয়ে লোকজনকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন।

ভুক্তভোগী আকরাম হোসেন বলেন, আমরা এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখনো  তারা সংস্কারের উদ্যোগ নেননি। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা নিজেদের জমিতে বালু ফেললো আমাদের করার কি আছে। তবে যে অংশটুকু ভেঙে গেছে সে অংশটুকু মেরামত করা করা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান শান্ত বলেন, বালু ফেলাতে ইউপি সদস্যের কিছু গাফিলতির কারণে এ দুর্ভোগ হয়েছে। তবে আমি বলে দিয়েছি দ্রুত মেরামত করার জন্য।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বালু ফেলানোর কারণে নিচের সুয়ারেজের লাইন বন্ধ হওয়ায় পানির চাপে ভেঙে গেছে। এটি এক প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগও। এলাকাবাসীর অসুবিধার কথা চিন্তা করে আমি নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত মেরামত করার জন্য। আশা করছি দ্রুত মেরামত হয়ে যাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই