সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, পুলিশের ফিটনেস বাড়ানোর নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

ঢাকা: সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে। এসব রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সরকারি সম্পত্তি ও জনগণের সম্পত্তি হেফাজত করতে হবে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের ফিজিক্যাল ফিটনেস এবং মাঠ পর্যায়, দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, পুলিশের কাজ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্যারেডের বিকল্প নেই।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সকালে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কমিশনার প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠ ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট মাঠে প্যারেড করার নির্দেশ দেন।

মাস্টার প্যারেডে ডিএমপি কমিশনার অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় কমিশনার ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জন্য অনেক কিছু করছেন। পুলিশ না চাইতেই অনেক কিছু দিচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীকে এর প্রতিদান হিসেবে ২ কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবাইকে একটি টিম হয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে হবে। 

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বুলেটটি ছোঁড়া হয় রাজারবাগের পুলিশের অস্ত্র থেকে। ওই প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন রাজারবাগের অনেক সাহসী বীর পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে।

মাস্টার প্যারেডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/আইএ