নির্দোষ প্রমাণে ‘রেইন ট্রি’র তথ্য হাজির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৭, ০৪:২৭ পিএম

ঢাকা: রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন জানিয়েছেন, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য তারা সব কাগজপত্র শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগে জমা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

তাদের হোটেলে অবৈধভাবে মদ রাখার বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে আদনান হারুন বলেন, এ মদের ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অবগত না। হোটেলে যে মদ পাওয়া গেছে তা বিদেশি অতিথিরা আনতে পারেন।

তিনি বলেন, দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় হোটেলের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। হোটেলটি নতুন তাই কর্তৃপক্ষ এখনও গুছিয়ে ওঠতে পারেনি।

অবৈধভাবে মদ রাখার বিষয়ে জানতে গত বুধবার ‘রেইন ট্রি’ কর্তৃপক্ষকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তলব করেছিল। সে হিসেবে ২৩ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হোটেল কর্তৃপক্ষকে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শুল্ক আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তের শুনানিতে অংশ নিতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১১টার পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে উপস্থিত হন আদনান হারুন। এ সময় আদনান হারুনের সঙ্গে তার চাচা ও মামা ছিলেন।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এ এইচ আদনান হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে (৬ মে) দুই তরুণী বনানী থানায় মামলা করেন। গত ১১ মে এই মামলার অন্যতম দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৪ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান এলাকা থেকে যথাক্রমে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ মে মুন্সিগঞ্জ লৌহজংয়ের টঙ্গীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় নাঈম আশরাফকে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ