এখনই কমছে না হাতিরঝিলের পানির দুর্গন্ধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম

ঢাকা : বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে রাজধানীর হাতিরঝিল নগরবাসীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। বিনোদন ছাড়াও যানজটহীন যাতায়াতের জন্য ঝিলটির ওয়ারটার ট্যাক্সি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বাড্ডা, রামপুরা এলাকাবাসীদের কাছে। কিন্তু প্রকল্পটি উদ্বোধনের এক বছরের মাথায়ই নাকে কাপড় চেপে থাকতে হয় ওয়াটার ট্যাক্সির যাত্রী ও ঝিলে ঘুরতে আসা মানুষের। বিশেষত শুকনো মৌসুমে ঝিলের পশ্চিম প্রান্ত অর্থাৎ হোটেল সোনারগাঁও প্রান্তে দুর্গন্ধের পাশাপাশি পানির রঙ পরিবর্তনও লক্ষ করা যায়।

পানির এমন দুর্গন্ধ দূর করতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) হাতিরঝিল সমন্বয় কর্তৃপক্ষ নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই হাতিরঝিলের পানি দুর্গন্ধমুক্ত করা হবে বলেও জানায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সময়সীমা শেষ হতে চললেও তেমন কোনো উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ায় ঝিলের পানিতে দুর্গন্ধের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। ঝিলের পানির রঙ পরিবর্তনও হতে শুরু করেছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তে ঝিলের পানিতে ভাসতে দেখা যায় আবর্জনাও।

হাতিরঝিলের পানির দুর্গন্ধ দূর করতে নেওয়া উদ্যোগ প্রসঙ্গে সমন্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ এক বছর হাতিরঝিলের পানির দুর্গন্ধ নির্মূলের জন্য প্রথমে আমরা ঝিলের পানি পরীক্ষা করিয়েছি। এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা তিন ধাপে লেকের পানি দুর্গন্ধমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। নভেম্বরের মধ্যে ঝিলের পানির দুর্গন্ধ দূর করতে পারব এমন ঘোষণা ছিল। তবে সময় আরো লাগতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ঝিলের পানির দুর্গন্ধ দূর করতে ৪৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চলমান এই প্রকল্পের অধীনে রাসায়নিক, বায়োলজিক্যাল এবং এয়ার কম্প্রেসারের মাধ্যমে পানি দুর্গন্ধমুক্ত করা হবে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেশিনের মাধ্যমে পানিতে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ানো হবে।

এ ছাড়া হাতিরঝিলের কাঁঠাল বাগান প্রান্তে ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন লাইনও যুক্ত রয়েছে। ধাপে ধাপে তা সরিয়ে নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই