দেখতে একই হলেও তারা জমজ দুই বোন

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

ঢাকা: ১৯৯৬ সালের ৭ নভেম্বরের আলো ঝলমলে সকাল। চারপাশটা কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। হাটহাজারীর ফতোয়াবাদের আইসক্রিম ফ্যাক্টরি সড়ক এলাকার বাড়িটির বাইরে তাই চেনা শোরগোল। কিন্তু ঘরের ভেতরে?

সেখানে স্রষ্টার দরবারে ওঠেছে সবার হাত। নতুন অতিথির অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলো নিশ্চুপ-নিঃশব্দে একমনে করে চলেছেন প্রার্থনা।

ঘড়ির কাঁটা সকাল সাড়ে দশটার ঘর ছুঁতেই সেই নিরবতা ভাঙলো-নবজাতকের কান্নার শব্দে। মিনিট পাঁচেক বাদে নতুন কান্না!

পৃথিবীর মুখ দেখলো আরও এক নবজাতক, একই মায়ের গর্ভ থেকে। উভয়েই ফুটফুটে মেয়ে। সরকারি কর্মকর্তা বাবা সৈয়দ মো. রিদুয়ান আর গৃহিণী মা শাহিনা পারভীন বড় মেয়ের নাম রাখলেন তাসনুভা মুনিরা আর ছোটটার নাম দিলেন তানজিলা মুবাশ্বিরা।

পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে কতো জমজেরই তো জন্ম হয়, এ আর নতুন কী-এমন প্রশ্ন যারা তুলবেন তাদের আগেভাগেই বলে দেওয়া ভালো-জন্মের পরের ২১ বছরে দুই বোনের মধ্যে কাকতালীয়ভাবে এমন কিছু ঘটেছে যা পড়ে হয়তো ভেতর থেকে বেরোবে এই কয়েকটা শব্দই-আশ্চর্য তো!

জমজ বলেই কী সবখানে একসঙ্গে বিচরণ! নিশ্চয় তাদের জীবনের স্ক্রিপ্টটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তারই লেখা! দুই বোনই এখন পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে। রীতিমতো ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধ মিটিয়েই তাদের একই বিভাগে সুযোগ পাওয়া কিছুটা বিস্ময় তো বটেই।

এ তো গেল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কথা। স্কুল থেকে কলেজ-সেখানেও দুটো মুখ পৃথক হয়নি কখনও! চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছেন নগরীর এনএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর দুই বোনই ‘ভালো’ স্কুলে ভর্তির আশায় অংশ নিলেন ভর্তি পরীক্ষায়। দু’জনই সুযোগ পেলেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সেখানে পড়লেন এসএসসি পর্যন্ত। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে দুই বোনই শেষ করলেন স্কুলজীবন।

কলেজে ভর্তির প্রাক্কালে দুই বোনই বিভাগ বদল করলেন। বিজ্ঞান থেকে এবার তাদের বিভাগের নাম ব্যবসায় শিক্ষা। দু’জনেই সুযোগ পেলেন হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজে। এইচএসসিতেও দুজনের ফলাফল বদলালো না-ওই জিপিএ-৫ই থাকলো।

তবে একটু পার্থক্য বলতে একজন সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল, আরেকজন কম ছিল। সূত্র- বাংলানিউজ


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন