বয়ান শুনছেন লাখো মুসল্লি, ছয়জনের মৃত্যু

আজ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত

  • টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২০, ০৯:২১ পিএম

ঢাকা : অনুকূল আবহাওয়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, ধর্মীয় উদ্দীপনা, ইজতেমার পক্ষ-বিপক্ষ মতাদর্শী মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ও কঠোর নিরাপত্তায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ঈমান, আমল ও আখলাক, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পর্কে তাবলিগি বুজুর্গ, ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ আলমের আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলমি সুরা তত্ত্বাবধানে এ পর্ব।

রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম জুমার জামাত।

ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে শরিক হন এই বৃহত্তম জুমার জামাতে। বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অসীম, অনন্ত ও প্রেমময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইবাদত বন্দেগি আর কোরআন হাদিসের আলোচনায় বিশ্ব ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলে এখন পবিত্র ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করছে।

এদিকে দ্বিতীয় দিনেও টঙ্গীর তুরাগতীরে লাখো মানুষের জমায়েত। বিশাল মাঠজুড়ে তৈরি শামিয়ানার ভেতরে-বাইরে মুসল্লিদের চলাফেরা। কখনো ঘন কুয়াশা, কখনো কনকনে শীত, কখনোবা শেষ পৌষের ঠান্ডা বাতাস। এর মাঝেই চলছে বয়ান, জিকির-আসকার, ইবাদত, খাওয়া-দাওয়া ও আনুষঙ্গিক কাজ। এভাবে চলছে টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন।

ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্বে অংশ নিয়েছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।

সকালের কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর পৌষের শেষ দিকের ঠান্ডা বাতাসসহ নানা প্রতিক‚লতা উপেক্ষা করে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করছেন সমবেত লাখো মুসল্লি।

রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।

শনিবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা আবদুর রহমানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের ইজতেমা। সকালে ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে প্রচুর মানুষের সমাগম। সড়ক-মহাসড়কে লাইন ধরে হাঁটছেন মুসল্লিরা। কারও মাথায়, কারও কাঁধে আবার কারও হাতে একাধিক ব্যাগ, শুকনা খাবার। এর মধ্যে অনেকে ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে বা দলছুট হয়ে ঘোরাঘুরি করছেন এদিক-সেদিক।

অনেকে রাত যাপন করেছেন রাস্তার পাশে, গাছের নিচে। তবে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুনছিলেন মাইকে ভেসে আসা মুরুব্বিদের বয়ান। সকাল আটটার দিকে রাজধানী ঢাকার উত্তরার রানাবোলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা। তাঁদের কেউ গাছের নিচে, কেউবা সড়কের পাশের ঢালু জায়গায় অবস্থান করছেন।

কথা হলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে আসা তাবলিগ জামাতের সাথি নুরুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি জানান, শুক্রবার ইজতেমায় যোগ দিতে এসে রাত হয়ে গেছে। এ কারণে আর মাঠের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। পরে চট বিছিয়ে রাত যাপন করেছেন সড়কের ঢালুতে। রাতে ভেতরে যাননি। এখন ভেতরে গেয়ে সাথিদের খুঁজবেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে আসা মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘ভেতরে নিজেদের জামাতের লোকজনেরই জায়গা হয় না। পরে বাধ্য হয়ে বাইরে চলে আসছি। তবে আল্লাহ ও রাসুলের কথা শুনতে এসে এসব কষ্ট কোনো কষ্ট মনে হয় না। সকাল থেকেই মুরুব্বিরা বয়ান করছেন।’

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমা। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি থেকে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই সর্বস্তরের মুসলমানদের জুমার জামাতে শামিল হওয়ার জন্য টুপি, পাঞ্জাবি পরে জায়নামাজ হাতে ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে দেখা গেছে।

দেশ-বিদেশের মুসল্লির সঙ্গে একই জামাতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে বেশি সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে সবার মধ্যে দেখা গেছে ব্যাকুলতা।

যতই সময় গড়াতে থাকে, ততই মুসল্লিদের ঢল আছড়ে পড়ে তুরাগতীরের ইজতেমা ময়দানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে জুমার জামাতে। টঙ্গী, উত্তরা, কামারপাড়া, মিরপুর, আবদুল্লাপুরসহ আশপাশের এলাকার মসজিদে গতকালের জুমার জামাতে মুসল্লির সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। ইজতেমা মাঠে জুমার জামাত সুবিশাল প্যান্ডেলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিস্তৃতি লাভ করে চারপাশে। যেদিকে দৃষ্টি যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মুসল্লিরা। পুরো টঙ্গী নগরী যেন টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষের নগরে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিদের টঙ্গীমুখী স্রোত অব্যাহত ছিল। বহুল কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত এ স্রোত আরো প্রবল হবে। দুপুর ১২টার দিকে মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া জুমার জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সুরা সদস্য, শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের আহমদ। জুমা নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা শেখ ইউনুস, বাদ আছর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা এহসান ও বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট।

জুমার নামাজে ভিআইপিদের অংশগ্রহণ : গতকাল জুমার নামাজে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা ও স্থানীয় নেতারা।

শনিবার যাঁরা বয়ান করেন: শনিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আবদুর রহমান। এরপর বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তান থেকে আসা মাওলানা ইসমাইল গুদরা। বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা জুহাইরুল হাসান এবং বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তাঁরা দুজনই এসেছেন ভারত থেকে। প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম বলেন, মুরব্বিদের আমবয়ানের মধ্যেও তাবলিগের শীর্ষপর্যায়ের মুরব্বিরা ইমান ও আমল নিয়ে কথা বলবেন। তিনি বলেন, এবারের ইজতেমায় মানুষের প্রচুর সাড়া পড়েছে। সাড়া দেশ থেকে মুসল্লিরা ভেঙে পড়েছেন ইজতেমা ময়দানের দিকে।

ছয় মুসল্লির মৃত্যু: ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এলাকার মো. ইয়াকুব আলী (৭৫), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আলী (৭০), সিরাজগঞ্জের খোকা মিয়া (৬০), নওগাঁর শহিদুল ইসলাম (৫৫), কুমিল্লার তমিজ উদ্দিন এবং রাজশাহীর আব্দুর রাজ্জাক (৬৭)।

বিদেশি মুসল্লির উপস্থিতি: ইজতেমা শুরুর আগ থেকেই ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, কাজাখস্তান, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইথিওপিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি মুসল্লিরা আসতে থাকেন। এর মধ্যে আজ সকাল পর্যন্ত পর্যন্ত ৪৬টি দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন বিদেশি মুসল্লি এসেছেন বলে জানা গেছে। আজ ও আগামীকাল সকালের মধ্যে এ সংখ্যা বাড়বে বলে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা : বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পর্যন্ত ইজতেমাস্থলের আশপাশে খাবারের দোকান ও হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা-বাসি খাদ্য পরিবেশন ও ভেজাল খাদ্য বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন খাবারের দোকান ও হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাসহ জরিমানা আদায় করা হয়।

গ্রেপ্তার : এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন এলাকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, চুরি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের পূর্ববর্তী তালিকা অনুযায়ী গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

হকার ও ভিক্ষুক উপদ্রব : বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে ফুটপাতে হকার, ভিক্ষুক ইজতেমা ময়দানে ও আশপাশের এলাকায় ভিড় জমিয়েছে এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপাটির সদস্যরাও, এদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন।

হারানো ও প্রাপ্তি : ইজতেমা মাঠের পশ্চিম দিকে হারানো ও প্রাপ্তি সেন্টার খোলা হয়েছে। ময়দানে কেউ কিছু হারালে ও কিছু পাওয়া গেলে সেখান থেকে সঠিক তথ্য প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।

মাসলেহাল জামায়াত কামরা : ইজতেমা ময়দানে আগত মুসলিদের নতুন যে কোনো সমস্যা সমাধানকল্পে ময়দানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে আশরাফ সেতুর পেছনে মাসলেহাল জামায়াতের কামরা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসে ওই জামায়াতের মুরব্বিরা উদ্ভূত সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন।

বিদেশি মুসল্লিদের অংশগ্রহণ : ইজতেমার প্রথম পর্বে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, শাদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, খিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান, দুবাইসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দু’সহস্রাধিক বিদেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের ভিন্ন ভিন্ন তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থা : টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মুসল্লি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মুসল্লি ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, পেটের পীড়াজনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাসুদ রানা। এছাড়া ইজতেমাস্থলের পার্শ্ববর্তী ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্পগুলোতে কয়েক হাজার মুসল্লি বিনামূল্যে ওষুধ সংগ্রহ ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ৩শ’, হামর্দদ ল্যাবরেটরিজ প্রায় ২হাজার, ইবনে সিনা ৬শ’ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই