রমজান মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য

  • ধর্ম ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৬, ০৪:২৬ পিএম

আজ ১৪ রমজান। রমজান মাস সিয়ামের মাস। সিয়ামের জন্য এই মাসকে খাস করে দিয়েছেন। এ মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এতে কোনো ইবাদত করলে তার সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি হয়ে যায়। শুধু তাই নয় মৃত্যুর পর কবরে দাফন করে লোকজন চলে গেলে কবরে ‘আজাবের ফেরেশতারা যখন আসে তখন কবরবাসীর মাথার দিক থেকে সিয়াম এবং পায়ের দিকে থেকে সালাত (নামাজ) তাকে আজাব থেকে রক্ষা করবে।

হাদীস শরীফে আছে : সায়িমের জন্য দুটো সময় খুবই আনন্দের। তার একটি হচ্ছে ইফতারের সময় আর অন্যটি হচ্ছে আখিরাতে যখন সে আল্লাহর দীদার লাভ করবে।

আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : আমি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট রসূল পাঠিয়েছি, যিনি আমার আয়াতসমূহ তোমাদের নিকট তিলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে পবিত্র করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন আর তোমরা যা জানতে না তা শিক্ষা দেন। সুতরাং তোমরা আমারই যিকর করো আমি তোমাদের স্মরণ করবো, তোমরা আমার প্রতিকৃতজ্ঞ হও আর কৃতঘ্ন হয়ো না। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৫১-১৫২)। এর পরেই আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : ওহে তোমরা যারা ঈমান এনেছো। ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৫৩)।

আল্লাহ জাল্লা শানুহু মানুষ সৃষ্টি করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে। মানুষকে দিয়েছেন সুন্দরতম অবয়ব। মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনিধি। তিনি মানুষকে নানা ধরনের আপদ-বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার উপায় হচ্ছে ধৈর্য অবলম্বন করা। বিপদে ধৈর্য অবলম্বন করার মধ্যে দিয়ে মূলত আল্লাহর প্রতি শোকর প্রকাশ হয়। মাহে রমজানে নিয়ত করে দিবসের সবটুকু সময় অর্থাৎ সুবিহ সাদিকের পূর্বক্ষণ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় কামাচার পানাহার ও পাপাচার থেকে বিরত থাকার মধ্য দিয়ে ধৈর্য বা সহিষ্ণুতার প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ হয় তা জীবনবোধে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন