সারা বিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহ হজ আদায়ে বাইতুল্লায় জড়ো হচ্ছে। অনেকেই সপরিবারে হজ আদায়ের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। যাদের অনেকের সঙ্গেই রয়েছে ছোট ছোট সন্তান-সন্ততি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদের অনেকেই অবুঝ আবার অনেকেই বোধ-শক্তি সম্পন্ন। এ সকল শিশুদের হজ আদায়ের কার্যাবলী সম্পর্কে কিছু দিক-নির্দেশনা তুলে ধরা হলো-
অবুঝ বালক-বালিকার জন্য করণীয়
- অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি ভাল-মন্দ, পবিত্রতা-অপবিত্রতা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তবে তাদের অভিভাবকগণকে তাদের পক্ষে ইহরাম, ওমরা ও হজের নিয়ত করে নিতে হবে।
- ছেলে হলে তাদেরকে সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করাতে হবে ; আর মেয়ে হলে মেয়েদের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করাতে হবে।
- তাদের পক্ষ থেকে অভিভাবককে তালবিয়া পড়তে হবে।
- এ ভাবে বাচ্চা মুহরিম বলে গণ্য হবে।
- প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য ইহরাম অবস্থায় যা যা নিষিদ্ধ; বাচ্চার জন্যও তা নিষিদ্ধ।
- বাইতুল্লাহ তাওয়াফের সময় তার কাপড় এবং দেহ পাক-পবিত্র রাখতে হবে। কেননা তাওয়াফ নামাজেরই অনুরূপ।
বুঝ বালক-বালিকার জন্য করণীয়
- বালক-বালিকা যদি বোধ-শক্তি সম্পন্ন হয় অর্থাৎ পাক-পবিত্রতার জ্ঞান রাখে, তবে তারা অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে ইহরাম বাঁধবে এবং তারা ইহরামের সময় ঐ নিয়মাবলীগুলো পালন করবে, যা বয়স্ক ব্যক্তিরা পালন করে থাকে।
- অভিভাবকগণ হজ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজগুলির তত্ত্বাবধান করবে।
- কংকর মারাসহ যে সকল কাজগুলো করতে বাচ্চারা অপারগ, তা আদায় করতে অভিভাবকগণ সহযোগিতা করবে অথবা আদায় করে দিবেন।
- অন্যান্য কাজগুলো যেমন, মিনায় অবস্থান করে নামাজ, আরাফার ময়দানে অবস্থান, মুযদালিফায় অবস্থান, তাওয়াফ ও সাঈ ইত্যাদি কাজগুলো অভিভাবকের সঙ্গে আদায় করা।
বিশেষ সতর্কতা-
বুঝ বা অবুঝ বালক-বালিকাদের মধ্যে যারা তাওয়াফ ও সাঈ করতে অপারগ, তাদের জন্য তাওয়াফ ও সাঈ করতে হবে আলাদা। অর্থাৎ নিজের তাওয়াফ ও সাঈ আদায়ের পর বাচ্চাদের নিয়তে তাওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করা। ইবাদাতের ক্ষেত্রে এই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
যারা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় আল্লাহর মেহমান হয়েছেন, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যথাযথ নিয়ম পালন করে হজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন