যেভাবে নেবেন রোজার প্রস্তুতি 

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪, ১০:৪৪ এএম

ঢাকা: শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাস। পাশাপাশি ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে গুনাহ মাফ করিয়ে পাহাড়সহ নেকি হাসিলের মাসও। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি হাদিসে তিন ধরনের লোকের ভাগ্যকে দুর্ভাগ্য বলেছেন। তাদের মধ্যে আছে তারা, যারা রমজান মাস পেয়েও নিজেদের গুনাহ্ মাফ করাতে পারল না।

আল কোরআনে আছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন। এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। 

আর যে রোগী বা মুসাফির তাকে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথ পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

রোজা রাখার নিয়ত
রোজা রাখার জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। রোজার আগে থেকেই দোয়া করা যায় যেন সুস্থ থেকে রোজা রাখা যায়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজাগুলো রাখে, তার আগের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’

রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে কোরআন তিলাওয়াত করা, অর্থ বুঝে কোরআন পড়া, কোরআনের তফসির পড়া এবং সেই অনুযায়ী জীবনে তা প্রয়োগ করার গুরুত্ব রয়েছে। সাহাবিরা অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে দ্বিগুণ কোরআন খতম দিতেন।

[219358]

কোরআন তিলাওয়াত করা সুন্নত, এমনকি তিলাওয়াত শোনাও। ইফতারের আগে বা পরে যখনই সময় পাওয়া যায় নিজে কোরআন তিলাওয়াত করা, অন্যের তিলাওয়াত শোনা, বাংলা বা ইংরেজিতে তফসির পড়া উত্তম চর্চার অংশ।

এ ছাড়া সুরা ইয়াসিন, আর রহমান, মূলক, হাশর বা কাহাফ মুখস্থ করা যায়। সুরা ইয়াসিনে ৮৩ আয়াত আছে। কিন্তু প্রতিদিন ৩ আয়াত করে মুখস্থ করলেই রোজার এক মাসে সুরা ইয়াসিন মুখস্থ হয়ে যাবে। প্রতিদিন যে কয় আয়াত মুখস্থ করবেন, সেই আয়াত দিয়ে আগের দিনের শেখা অংশগুলোসহ নামাজ পড়বেন। ধরুন তিন দিনে নয় আয়াত মুখস্থ হলো। নামাজে সুরা ফাতিহার সঙ্গে ওই ৯ আয়াত পড়া যায়।

নিজে পড়া ছাড়াও বাসার অন্য সদস্যরাও যাতে কোরআন পড়তে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করা দরকার।

অন্যান্য কার্যক্রম
রমজান মাসে নিজের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছাড়াও দিনমজুর ও গরিবরা যাতে রোজা রাখতে পারে, সে জন্য ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করা ভালো।

দ্বিতীয় হিজরিতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বদরের যুদ্ধ এই মাসে সংঘটিত হয়। মুসলমানেরা সে যুদ্ধে জয়ী হয়। অষ্টম হিজরিতে তারা মক্কা বিজয় করে। এসব ব্যাপারে জানতে হলে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে বইপুস্তক পড়া যায়।

রমজানের শেষ দশদিন পুরুষেরা মসজিদে গিয়ে ইতিকাফ করতে পারেন। কারণ রমজান গুনাহ্‌ মাফের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। আর ইতিকাফ করলে পবিত্র শবে কদর নসিব হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। 

রমজানের বিশেষ তিনটি আমল হলো: ১. কম খাওয়া, ২. কম ঘুমানো, ৩. কম কথা বলা। এ ছাড়া হারাম থেকে দূরে থাকা; চোখের হেফাজত করা, কানের হেফাজত করা, জবানের হেফাজত করা।

এআর