যে সব উপদেশে ফিরে থাকা যায় অন্যায় থেকে

  • এহসান বিন মুজাহির | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬, ০৪:১২ পিএম

উপদেশ প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। সব সময় কল্যাণে সঙ্গে থাকা। অন্যায় ও অকল্যাণ থেকে ফিরে থাকা। উপদেশ থেকে মানুষ অন্যায় ও অকল্যাণ থেকে ফিরে থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকে। তাই মুসলিম উম্মাহর দুনিয়া ও পরকালীন জীবনের কল্যাণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ তুলে ধরা হলো। যা মানুষকে উভয় জাহানের সম্মান ও মর্যাদার আসনে সমাসীন করবে।

উপদেশগুলো-
১. মুসলিম উম্মাহ যে অবস্থায় থাকুক না কেন আজান শোনার সাথে সাথে নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা;
২. সময় যত কমই হোক না কেন কুরআন তিলাওয়াত করা এবং এটা নিয়ে গবেষণা কর। সময়কে বেহুদা ব্যয় না করা।
৩. কথা বা ভাব বিনিময়ের সময় পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে স্পষ্টবাদী হওয়ার চেষ্টা করা, কেননা স্পষ্টবাদীতা ইসলামের অন্যতম গুণ।
৪. কুরআন হাদিস বুঝার জন্য আরবি শিখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা, কেননা কেবলমাত্র আরবি ভাষা জানা থাকলে কুরআনকে ভালোভাবে বুঝা সম্ভব।
৫. কোন বিষয়েই মাত্রারিক্ত তর্কে জড়াবে না। কেননা এটা কোন সময় সফলতা বয়ে না।
৬. কখনোই বেশি হাসা-হাসি না করা; কেননা আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত আত্মা সবসময় শান্তচিত্ত ও ভারি হয়। বেশি হাসলে মানুষের অন্তর মরে যায়।
৭. কখনোই মশকরা না করা; মশকরা মানুষকে গোনাহের দিক ধাবিত করে।
৮. শ্রোতা যতটুকু আওয়াজ পছন্দ করে ততটুকু আওয়াজে কথা বলা। মাত্রারিক্ত আওয়াজ বা শোরগোল অন্যকে অত্যাচার ও নিপীড়ন করার শামিল।
৯. কখনোই কাউকে ছোট বা হেয় না করা।
১০. কল্যাণকর উপকারি কথা ছাড়া অযথা কোনো ব্যাপারে কথা না বলা।
১১. প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করা, অনিচ্ছ্বা সত্ত্বেও পরস্পর পরিচিতি হওয়া। কারণ পরিচয়ের দ্বারা মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।
১২. মানুষের প্রতি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যে পরিমাণ দায়িত্ব রয়েছে, সে তুলনায় মানুষের জীবনকাল অনেক কম। সুতরাং সময় অপচয় না করে প্রত্যেকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সক্রিয় থাকা। হতে পারে তা ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি কিংবা পারিবারিক ও সামাজিক কাজ। সকল কাজে নৈতিকতার পরিচয় দেয়া।
১৩. সব সময় পরিষ্কার-পরিছন্নতার দিকে নজর দেয়া। কেননা দ্বীন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপরেই নির্মিত হয়েছে।
১৪. মানুষের কথা ও কাজে সবসময় মিল রাখা। শর্ত যত কঠিনই হোক না কেন, কথা ও কাজের উপর অটল অবিচল থাকা।
১৫. সর্বোপরি সুযোগ্য নাগরিক হতে পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়া। কারণ শিক্ষার কোনো বয়স নাই। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী লাইব্রেরি গড়ে তোলা। প্রত্যেকেই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি অন্যকে জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত উপদেশগুলো মেনে চলার পাশাপাশি ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন