আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায়

  • ধর্ম ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৭:১৪ পিএম

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী ব্যক্তিকে সাধারণত আমরা নেককার বান্দা হিসেবে জানি। কিন্তু কোন ব্যক্তি নেককার বা বদকার, তা সরাসরি বলা যায় না বা জানা যায় না। তবে যারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সচেষ্ট তাদের রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণ।

আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনকারীর বৈশিষ্ট্য ও গুণ সম্পর্কে হজরত ইমাম আবু লাইছ সমরকান্দি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাম্বীহুল গাফেলিন গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, হজরত শাকিক ইবনে ইবরাহিম জাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে কোনো এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন যে, মানুষ আমাকে নেককার বলে। কিভাবে বুঝব যে, আমি নেককার না বদকার? তিনি উত্তরে তিনটি অবস্থার কথা তুলে ধরেন-

১. আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের কাছে নিজের (দৈনন্দিন জীবনের) অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী, ইবাদাত-বন্দেগির হালত তথা বিষয়াদির বর্ণনা করা। যদি তাঁরা তা পছন্দ করেন, তবেই মনে করবে যে তুমি নেককার।

২. নিজের অন্তরের সামনে দুনিয়াকে পেশ কর। যদি দুনিয়ার লোভ-লালসা তোমাকে আকৃষ্ট করতে না পারে, তবে বুঝবে তুমি নেককার।

৩. নিজের সামনে মৃত্যুকে উপস্থিত কর। যদি অন্তর নিজের মৃত্যুর ওপর সন্তুষ্ট থাকে আর তাড়াতাড়ি মাওলার দিদারে যাওয়ার আনন্দ অনুভব করে, তাহলে বুঝবে তুমি নেককার বান্দা।

যদি কোনো ব্যক্তি উল্লেখিত তিনটি অবস্থা অর্জন করতে পারে, তবে তার জন্য উচিত সে যেন আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে এবং স্বীয় অক্ষমতা প্রকাশ করে।

সতর্কতা অবলম্বন করা যাতে তাঁর আমলে রিয়া বা অহংকার তথা লোক দেখানো ইবাদতের আঁচড় প্রবেশ করতে না পারে। কেননা রিয়া সব আমলকে ধ্বংস করে দেয়।

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ তিনটি অবস্থার ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি সৎ লোকদের সংস্পর্শে থেকে পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন