জেনে নিন ভয়াবহ সব কবরের আযাব

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০১৬, ০৪:২৬ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

দুনিয়ার জীবনে পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের যারা তোওবা করবেনা, আল্লাহর রহমত অর্জন করতে ব্যর্থ হবে, তাদের জাহান্নামের শাস্তি কবরের জীবনেই শুরু হয়ে যাবে। এই শাস্তি চলবে কেয়ামত পর্যন্ত, আর জাহান্নামের শাস্তিতো আরো কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী। এইজন্য রাসুল সাঃ আমাদেরকে বারবার কবরের আযাব থেকে বাঁচার জন্য, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেও নামাযের ভেতরে ও বাইরে কবরের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। কবরের আযাবের ভয়াবহতা চিন্তা করে সাইয়্যিদিনা উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) কবরের কথা স্মরণ করলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন, এমনকি তাঁর কাপড় ভিজে যেত চোখের পানিতে।

কবরের শাস্তি হিসেবে যা থাকবে তা হলো:

কাজ্জাব বা বড় মিথ্যাবাদী ও মিথ্যা কথা প্রচারকারীর শাস্তি-
কাজ্জাবকে দাঁড়ানো অবস্থায় এক পাশের চোয়াল এমনভাবে আকড়া দিয়ে বিদ্ধ করা হবে যে, সেটা তার চোয়াল বিদীর্ণ করে মস্তকের পশ্চাদভাগ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তারপর অপর চোয়ালটিকেও একইভাবে বিদীর্ণ করা হবে। এইভাবে তাদেরকে কেয়ামত পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

ক্বুরান শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং বেনামাযীদের শাস্তি-
ক্বুরানকে অবহেলাকারী ও বেনামাযীকে মাটিতে ফেলে তার মাথার কাছে একজন আজাবের ফেরেশতা দাঁড়িয়ে পাথর দিয়ে আঘাত করে তার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে। নিক্ষিপ্ত পাথর দূরে গড়িয়ে যাওয়ার ফলে তা তুলে নিয়ে শায়িত ব্যক্তির কাছে ফিরে আসার আগেই ভেঙ্গে যাওয়া মাথা আগের মতো আবার জোড়া লেগে যাবে। ফেরেশতা পুনরায় তার মাথার উপরে পাথর নিক্ষেপ করবে। এইভাবে তাদেরকে কেয়ামত পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন