আল্লাহ যাদের অপছন্দ করেন, জেনে নিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০১৮, ০২:৫৯ পিএম

ঢাকা: আল্লাহ ক্ষমাশীল। অশেষ দয়ালু। কিন্তু কিছু বিষয় আল্লাহ-তায়ালা পছন্দ করেন না। আর যে কাজ গুলো আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না, সেই কাজ যে বা যারা করেন আল্লাহ তাদেরও পছন্দ করেন না। এ সম্মন্ধে কুরআন হাদীসের আলোকে আলোচনা করা হলো আল্লাহ পাক কোন ধরণের মানুষকে অপছন্দ করেন।

প্রতিটি বান্দায় সৃষ্টিকর্তার তৈরি। নিজের তৈরি কোনো কিছু তখনই অপছন্দ হয়। যখন তা মনের মত হয় না। আল্লাহ অশেষ ক্ষমাশীল, দয়ালু হওয়া শর্তেও কিছু জিনিসে বিধি নিষেধ আরোপ করে দিয়েছেন। আর প্রত্যেকের উচিত সেই বিধি নিষেধ মেনে চলা।

১. ‘মানুষ অবশ্যই তার প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ এবং সে অবশ্যই এ বিষয়ে অবহিত এবং সে অবশ্যই ধন-সম্পদের আসক্তিতে প্রবল।’ –সূরা আদিয়াত: ৬-৮

২. ‘আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ –সূরা বাকারা: ১৯০

৩. ‘আল্লাহ অবিশ্বাসী পাপীদের ভালোবাসেন না।’ –সূরা বাকারা: ২৭৬

৪. ‘আল্লাহ অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না।’ –সূরা আলে ইমরান: ৩২

৫. ‘আল্লাহ জালেমদের (অত্যাচারী) ভালোবাসেন না।’

৬. ‘বলো! তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ –সূরা আলে ইমরান: ৩১

৭. ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনও পূন্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো, আল্লাহ অবশ্যই সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।’ –সূরা আলে ইমরান: ৯২

৮. ‘না, তোমরা প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবনকে ভালোবাসো এবং আখেরাতকে উপেক্ষা করো।’ –সূরা কিয়ামাত: ২০-২১

৯. ‘তুমি যাকে ভালোবাসো ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে সৎপথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভালো জানেন সৎপথ অনুসারীদেরকে।’ –সূরা কাসাস: ৫৬

১০. ‘তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হলো- যদিও তোমাদের নিকট এটা অপ্রিয়। কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ করো সম্ভবত তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালোবাসো সম্ভবত তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জানো না।’ –সূরা আল বাকারা: ২১৬

১১. ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না। তোমরা সৎকাজ করো, আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণ লোককে ভালোবাসেন।’ –সূরা বাকারা: ১৯৫

১২. ‘আল্লাহ ও তার রাসূলের নিকট মুশরিকদের চুক্তি কি করে বলবৎ থাকবে? তবে যাদের সঙ্গে মসজিদুল হারামের সন্নিকটে তোমরা পারস্পরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলে, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের চুক্তিতে স্থির থাকবে, তোমরাও তাদের চুক্তিতে স্থির থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের পছন্দ করেন।’ –সূরা তাওবা: ৭

১৩. ‘তারা মিথ্যা শ্রবণে অত্যন্ত আগ্রহশীল এবং অবৈধ ভক্ষণে অত্যন্ত আসক্ত। তারা যদি তোমার নিকট আসে তবে তাদেরকে বিচার নিষ্পত্তি করো না, অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করো না। তুমি যদি তাদেরকে উপেক্ষা করো তবে তারা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি বিচার নিষ্পত্তি করো তবে তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করো; নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালোবাসেন।’ –সূরা মায়েদা: ৪২ সূত্র-ইন্টারনেট


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন