ঢাকা : সাওম বা রোজা শারীরিক ইবাদতগুলোর মধ্যে অত্যন্ত কষ্টকর। এটি ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। ইসলামে রমজানের রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই গুরুত্বপূর্ণ বিধানটি আমরা সঠিকভাবে পালন করতে চাই; কিন্তু অনেকেই জানি না রোজা পালনের সঠিক নিয়ম বা কী কী কারণে রোজা ভেঙে যায়। আবার কী কী কারণে রোজা ভাঙে না। তাই আসুন জেনে নিই- কী কারণে বা কাজে রোজা ভাঙে এবং কী কারণে বা কাজে রোজা ভাঙে না।
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়-
১. সহবাস- সিয়াম অবস্থায় সহবাস করলে সিয়াম বাতিল হয়ে যায়। সিয়াম ফরজ হোক কিংবা নফল।
২. ইচ্ছা করে বীর্যপাত ঘটানো- কাউকে চুমো দেওয়ার মাধ্যমে বা স্পর্শ করার কারণে কিংবা হস্তমৈথুন ইত্যাদি কারণে বীর্যপাত ঘটানো হলে সিয়াম বাতিল হয়ে যায়।
৩. পানাহার করা- রোজা রেখে যেকোনো ধরনের পানাহার করলে রোজা ভেঙে যায়।
৪. পানাহারের বিকল্প গ্রহণ- পানাহারের বিকল্পও সিয়াম ভঙ্গ করে।
৫. হাজামা বা শিঙ্গা লাগানো- যে শিঙ্গা লাগায় ও যাকে শিঙ্গা লাগানো হয়, উভয়ের সিয়াম নষ্ট হয়ে যায়।
৬. ইচ্ছাকৃত বমি করা- যদি কেউ ইচ্ছা করে বমি করে, তাহলে তার সিয়াম পালন বাতিল হয়ে যাবে।
৭. নারীদের হায়েজ বা নেফাস শুরু হলে- যদি সিয়াম অবস্থায় নারীদের হায়েজ বা নেফাস শুরু হয়, তাহলে সিয়াম ভেঙে যাবে। পরবর্তীতে কাজা আদায় করতে হবে।
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না-
১. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলাবালি-ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।
৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
৪. বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।
৫. চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
৬. ইনজেকশন নেওয়া।
৭. ভুলক্রমে পানাহার করা।
৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেওয়া।
৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
১০. শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।
১১. ঠান্ডার জন্য গোসল করা।
১২. দিনের বেলায় ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হওয়া।
১৩. মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো, গলার ভেতর যাতে না পৌঁছায়।
১৪. স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে বীর্যপাত হলে।
১৫. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়)। পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই